মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
মির্জাপুরে উপজেলা সদরের পৌরসভার কালিবাড়ি রোডে আগুনে তিনটি জুয়েলীর দোকান , শো-রুমসহ ১২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোর রাতে আগুনের এ সুত্রপাত হয়। পুলিশ, স্থানীয় এলাকাবাসি এবং ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের দমকল বাহিনীর কর্মীদের প্রচেষ্টায় ঘটনার চার ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি হওয়ায় চরম বিপাকে পরেছেন ব্যবসায়ীরা। কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি মালামালও বের করতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় আট কোটি টাকা।
ঘটনার প্রত্যদর্শিরা জানায়, আজ মঙ্গলবার ভোর রাত চারটার দিকে কালিবাড়ি রোডের কাঁচা বাজার সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সুত্রপাত হয়। ঘরগুলো টিনের মার্কেট হওয়ায় মুহর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান আশপাশের দোকানে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ, মির্জাপুর, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল ও কালিয়াকৈর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। এ সময় রাস্তা সরু এবং পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীর সদস্যদের বেক পেতে হয়। ভয়াবহ এই আগুনে কালিবাড়ি রোডের প্রাণ আর এলের বিশাল শো-রুমের মালিক নীল কমল দে (নদীর) মাতৃ-বাসনালয় গিফর্ট কর্নার, পংকজ ঘোষের লিপি জুয়েলারী, মন্টু কর্মকারের পাল জুয়েলারী, অখিল কর্মকারের অর্পনা জুয়েলারী, প্রশান্ত পালের পাল টেইলার্সসহ ১২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া দুই পাশের বাসাবাড়ির ক্ষতি হয় বরে তারা জানিয়েছেন। প্রায় চার ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে প্রাণ আর এফ এলের শো-রুমে। শো-রুমের মালিক জানিয়েছেন তার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় দুই কোটি টাকা।
এদিকে ভয়াবহ আগুনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মালামাল পুড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরেছেন বলে জনিয়েছেন।
তারা জানান, বিভিন্ন এনজিও, ব্যাংক এবং মহাজনসহ ধার দেনা করে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। ভয়াবহ আগুনে তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। কি বাবে ঋণ পরিশোধ করবে এ নিয়ে দুঃচিন্তার মধ্যে পরেছেন। স্থানীয় এমপিসহ প্রশাসনের নিকট ক্ষতিপুরনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রাসেল মিয়া ও মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মতিউর রহমান বলেন, একটি চায়ের দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সুত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনগনের সার্বিক সহযোগিতায় প্রায় চার ঘন্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় সাত কোটি টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে আগুনের ঘটনার খবর পেয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদয়ি স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম ও পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল ক্ষতিগ্রস্থ্য বাবসায়ীদের তালিকা সংগ্রহ করে প্রয়োজনাীয় সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post