নওগাঁ প্রতিনিধি:
সাবেক সংসদ সদস্য নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মারা গেছেন ।
সোমবার ৯সেপ্টেম্বর বিকেল চার টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। তার ছেলের মৃত্যুতে তিনি অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি স্ত্রী শাহানাজ মালেক ও তার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায়। বসবাস করতেন শহরের মুক্তির মোড় নামক এলাকায় গাঁজা সোসাইটির সমবায় অফিসের পার্শ্বে।
তাঁর স্ত্রী শাহানাজ মালেক জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
জানা যায়, আব্দুল মালেক বেশ কিছুদিন থেকে বিভিন্ন রোগের কারণে অসুস্থতায় ভূগছিলেন। চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি সুস্থ হয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে তিনি অসুস্থতাবোধ করলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেল চার দিকে মারা যান তিনি।
প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিল ২০১৩ সালে ৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অবতর্মানে নওগাঁয় আওয়ামী লীগের হাল ধরেন জেলা শাখার দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতির পদে দায়িত্বে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক। সেসময় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখেন তিনি। যার ফলে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্ধ বৎসরের জন্য আব্দুল মালেক প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামকে হারিয়ে আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নানান কারণে অনেক নাটকীয়তার পর ২০১৮ সালে মরহুম নেতা জলিল পুত্র ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগ পর্যন্ত জলিলপুত্র জন ছিলেন নওগাঁ-৫ সদর এই আসনের সংসদ সদস্য।
এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগসহ এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশসহ বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।

Discussion about this post