মুহাম্মদ রুমান দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে মাকে বিবাহে ব্যর্থ হয়ে নাবালিকা সন্তানকে অপহরণের সাথে জড়িত মূলহোতা মাহবুর আলম পারভেজসহ ২জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
গতকাল সোমবার মাহবুর আলম পারভেজকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকা হতে ও অপহরণের সাথে জড়িত শাকিল আহমেদ রুবেলকে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় কুমিল্লা হতে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর প্রধান কার্যালয় থেকে মিডিয়া কর্মকর্তা সনদ বড়–য়া এ তথ্য সাংবাদিকদের জানায়।
মিডিয়া কর্মতা জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার গ্রেফতারকৃত আসামী মাহবুর আলম পারভেজ ও নাবালিকা ভিকটিমের মা মাহমুদা সুলতান ইলু পরস্পর দুর সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন এবং একই এলাকার বাসিন্দা। একই এলাকায় বসবাসের সুবাধে তাদের একে অপরে বাসায় যাতায়ত ছিল। সম্প্রতি মাহমুদা সুলতান ইলু তার স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তার দুই সন্তানকে নিয়ে তার পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। এরই সুযোগে মাহবুর আলম পারভেজ দীর্ঘদিন যাবত মাহমুদা সুলতান ইলুর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। একপর্যায়ে মাহবুর আলম পারভেজ তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। মাহমুদা সুলতান ইলু তার দেওয়া বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে মাহবুর আলম পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদা সুলতান ইলু ও তার সন্তানদের অপহরণসহ গুম করা হুমকি প্রদান করে।
গত রবিবার ভোরে সময় মাহবুর আলম পারভেজ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে নাবালিকা ভিকটিমকে ফোন করে ঘরের দরজা খুলতে বলে। নাবালিকা ভিকটিম সরল বিশ্বাসে ঘরের দরজা খুলে দিলে আসামী মাহবুর আলম পারভেজ তার সহযোগী আসামী শাকিল আহমেদ রুবেল এর সহায়তায় ভিকটিমকে ফুসলিয়ে ঘরের বাহির করে প্রথমে মাহবুর আলম পারভেজ বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার সহযোগী আসামী শাকিল আহমেদ রুবেল এর সহায়তায় কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেয়।
আসামী মাহবুর আলম পারভেজ (৪৬) সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলী কলেজ পাড়ার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। অপর আসামী শাকিল আহমেদ রুবেল (৪৩) কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার দ্বিতীয় মুরাদ পুর গ্রামের সাঈদ আহমেদের ছেলে।

Discussion about this post