পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. মহিউদ্দিন রানা চৌকিদার ও তার পিতা আঃ সালাম চৌকিদারের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৬অক্টোবর) সকাল ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিউদ্দিন রানার বড় ভাই মো:কাওসার আহম্মেদ সোহেল ।
তিনি বলেন, আমি আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আসামী মোঃ ফারুক চৌকিদার, (মেম্বার), বর্তমান আউলিয়াপুর ইউনিয়ন ০৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। আসামীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত উক্ত ফারুক চৌকিদারের নির্দেশে মোঃ জহিরুল চৌকিদার, মো: মোজাম্মেল হক মুজু, মোঃ খবির চৌকিদার, মোঃ নুহ চৌকিদার, সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন দূর্বৃত্ত ঘটনার দিন আমার পিতা আবদুস সালাম চৌকিদার ও ছোট ভাই মো: মহিউদ্দিন ইসলাম রানা চৌকিদার ওপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়।
উক্ত হামলার ফলে বর্তমানে আমার পিতা আবদুস সালাম চৌকিদার পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও ছোট ভাই মোঃ মহিউদ্দিন ইসলাম রানা চৌকিদার বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আসামিরা স্থানীয়ভাবে খুব প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় লোকজন তাদের ভয়ে কথা বলার সাহস পায় না। এছাড়া আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে চাদাবাজিসহ অবৈধভাবে জোড় পূবর্ক ভূমি দখল করেছে। আসামিদের সাথে আমাদের জমি জমা নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলমান আছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৫ সালে মোঃ জহিরুল ইসলাম আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে আমার উপর হামলা করিলে আমি তৎকালীন সময় আমার হাত দিয়ে কোপ ফেরানোর সময় আমার ডান হাতের উপরে আঙ্গুলে কোপ পরে যা আমি আপনাদের সরাসরি প্রমান হিসেবে দেখাচ্ছি। তখন আমি তাদের হুমকির কারণে ভয়ে কোন মামলা করতে পারি নাই এবং ঠিকমত তাহারা আমাকে চিকিৎসাও করতে দেয় নাই। এছাড়া মোঃ মোজাম্মেল হক মুজু এর নামে মাদক ব্যবসা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিল। আপনারা তদন্ত করে দেখতে পারবেন।
গত ২২ অক্টোবর আমার বাবা ও ছোটভাইকে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় আমি বাদি হয়ে উক্ত ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা রুজু করি। মামলা নং- ৩১। এ মামলার প্রধান আসামী জহিরুল চৌকিদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলখানায় প্রেরন করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য আসামিরা মামলা তুলে নিতে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরসহ সাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে খুন, জখম করার হুমকি দিচ্ছে ।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল জানান ১ নং আসামি জহিরুল চৌকিদারকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাওসার আহমেদ সোহেলের মা জাহানারা বেগম, চাচা মো. ইউনুচ চৌকিদার, ফুফাতো ভাই হুমায়ুন, খালু মোনাসেফ মৃধা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত মহিউদ্দিন রানা চৌকিদারের স্ত্রী বৈশাখী বেগম ও ১০ মাসের শিশু সন্তান আয়মান সাদিকসহ অন্যান্য স্বজনরা।

Discussion about this post