নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোর সদরের খোলাডাঙ্গা এলাকায় দূর্বত্তদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আমিনুল ইসলাম সজল (৪৬) নামে এক সেনেটারি ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।
তিনি ওই এলাকার আজিজুল ইসলাম মিন্টু মুন্সির ছেলে। তিনি জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি ও বাজার কমিটির সভাপতি ছিলেন। যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে ৯খুন সংগঠিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, নিহত সজলের খোলাডাঙ্গা এলাকায় তার স্যানিটারি দোকান রয়েছে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় খোঁড়া কামরুলের নেতৃত্বে তাকে গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরী বিভাগের ডাক্তার সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান,মৃতের শরীরে কমপক্ষে১০ স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়,খোলাডাঙ্গা রেললাইনের পাশে এলাকায় একটি জমি নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী খোড়া কামরুলের সাথে তার বিরোধ চলছিল। ঘোড়া কামরুল গং তাকে হত্যা করতে পারে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনা শুনে তিনি ঘটনা স্থলপরিদর্শন করেছেন। থানা পুলিশ ও ডিবির একটি টিম আসামিদের আটকে অভিযান শুরু করেছে।
গত ২ নভেম্বর খোলাডাঙ্গা ব্র্যাক অফিসের বিপরীতে আসাদুল ইসলাম নামে এক যুবক খুন হন। তিনি খড়কি দক্ষিণ পাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর শহরতলীর শেখহাটি বাবলাতলা আদর্শ পাড়ায় ভাড়াটিয়ার হাতে খুন হন শাহানারা বেগম নামে এক নারী। তিনি একই এলাকার আতিয়ার রহমানের স্ত্রী। সজলসহ এক মাসে যশোরে নয়টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

Discussion about this post