নিজস্ব প্রতিবেদক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আলোপ হোসেন নামে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধার যাচাই বাছাই তালিকায় (গেজেটে) তার নাম অন্তভুর্ক্ত করে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা নিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মোনছের আলীর সন্তান রাসেল মিয়া। দীর্ঘ দিনেও তার তার ফেরত না দেওয়ায় ঐ মুক্তিযোদ্ধা অবশেষে মারা গেছেন। এছাড়া এই আওয়ামীলীগ নেতা ভুমি অফিসে খারিজ করে দেওয়ার নামে আব্দুর রহিম নামে এক অসহায় দিন মজুরের নিকট থেকেও ১৭ হাজার ৫০০শ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। দুই জনের নিকট থেকে লিখিত অভিযোগ আসায় উপজেলা আওয়ামীলী তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করেছেন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার এক নং মহেড়া ইউনিয়নের নগরছাওয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) ভুক্তভোগি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রাসেল মিয়া অভিযোগ করেন, তার পিতা মোনছের ্আলী একজন মুক্তিযোদ্ধা। গেজেটে হঠাৎ করে তার নাম বাদ পরে। বিগত সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় বাদ পরাদের গেজেটে অন্তভুর্ক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যাচাই বাছাই শুরু করেন। এই যাচাই বাছাইয়ে তার পিতা মোনছের ্অলীর নাম যাতে বাদ পরেন সে জন্য মহেড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলেপ হোসেন প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে এক লাখ টাকা ঘুষ নেন। আজ পর্যন্তও তার নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। টাকা না পেয়ে অবশেষে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা মোনছের ্আলী। টাকা ফেরত ও আওয়ামীলীগ নেতা আলেপ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়ার জন্য রাসেল মিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। উপজেলা আওয়ামীলীগ এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানা গেছে।
নগরছাওয়ালী গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর জীবন মিয়ার পুত্র আব্দুর রহিম লিখিত অভিযোগ করেছেন, উপজেরা ভুমি অফিসে জমি খারিজ করে দেওয়ার নামে এই আওয়ামীলীগ নেতা আলেপ হোসেন ১৭ হাজার ৫০০শ টাকা ঘুস নিয়েছেন। দীর্ঘ দিন চলে গেলেও তার খারিজ হয়নি। ভুমি অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো টাকা তিনি আত্নসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনিও উপজেরা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অপর দিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ নেতা আলেপ হোসেনের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ঐ এলাকায় অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এখন তিনি আত্মগোপনে।
এ ব্যাপারে মহেড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও অভিযুক্ত আলেপ হোসনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত মোবাইল-০১৭১৩-৫৬২১২৬ যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় লোকজন ও তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্নগোপনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তাদের ফোন বন্ধ ও আত্নগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তাদরে বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল দুই নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মহেড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলেপ হোসেনের বিরুদ্ধে পর পর দুইটি লিখিত অভিযোগ আসায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এ এস এম ছানোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post