জাহিদ হাসান, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া): এ এক আবেগ ঘন মূহুর্ত, অনেক প্রতীক্ষার সময় পেরিয়ে অবশেষে এল সেই দিন।
১০শে জানুয়ারি শুক্রবার ভেড়ামারার ঐতিহাসিক ভেড়ামারা পাইলট হাইস্কুলের এস,এস,সি ২০০৫ বন্ধু রতন, আব্দুল হাই, মনিরুজ্জামান রুবেল, অধ্যাপক মনি, ফরিদ, টোকন ও সাংবাদিক জাহিদ হাসানের আয়োজনে মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করে প্রায় ৬০ জন স্কুল বন্ধু।
বিগত ২০ বছর পর একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়। হয় নতুন করে পরিচয়, কুশল বিনিময়। ভেড়ামারার বিনোদন স্থান গোলাপনগর মনি পার্কে সকাল ১০ টা থেকে তাদের আগমন শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান।
মিলন মেলার শুরুতেই বন্ধুদের ফুলেল শুভেচ্ছায় একে অপরকে বরণ। পরে সকালের নাস্তা, দুপুরে বন্ধু মশিউর, সোহেল, বিধান, বাপ্পি ও অসিমের রান্না দিয়ে একসঙ্গে টিফিন পার্টি অর্থাৎ মধ্যাহ্নভোজ, বিকেলে বন্ধু সুজন, ফরিসের মনোরঞ্জন নাচ ও সন্ধ্যায় আকর্ষণিক উপহার সামগ্রী প্রদান এবং পরিশেষে বন্ধু ডাঃ রাজকুমারের স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা। কিছু সময়ের জন্য অতীত স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে বন্ধু গণ খুঁজে পায় ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সকে। আর তাই মেতে উঠেন বন্ধু গাজীর সাউন্ড মাইকে বিভিন্ন রকমের হিন্দি বাংলা গান, কবিতা, কৌতুক, কুইজ আর আড্ডায়। সারাদিন আনন্দ আর আনন্দ ঘন পরিবেশ। এরই মধ্যে পূর্বের সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যেতে প্রস্তুত। তাগাদা এলো ঘরে ফেরার। বেজে উঠল বিষাদের সুর। “যেতে নাহি দেব হায়, তবু যেতে দিতে হয়”। কি এক মুহুর্ত, একজন আর একজনের কাছ থেকে অশ্রুসিদ্ধ ভড়াকান্ত মনে বিদায় নেওয়ার পালা। এভাবেই অনুভূতি গুলো ব্যক্ত করছিল ২০০৫ সালের এস,এস,সি পরিক্ষায় কৃতকার্য হওয়া উক্ত অনুষ্ঠানে আসা বিভিন্ন বন্ধুগণ। বিদায় বেলা আয়োজকরা ছোট্ট পরিসরের এই আয়োজনকে আগামীতে আরো বড় ও সুন্দর করার আশা পোষণ করে নীড়ে ফিরার যাত্রা শুরু করে।
Discussion about this post