শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট থেকে:
লালমনিরহাট জেলা শহরের বিডিআর গেটে রেলওয়ের কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উচ্ছেদ করে উদ্ধার করেছে।
আজ রবিবার দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। জানা গেছে, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পদক মৃত জহুরুল হক মামুনর রেলওয়ের আপইয়ার্ডের জায়গা অবৈধ ভাবে দখলে নিয়ে সেখানে একটি মার্কেট গড়ে তুলেছিল। মিনি এই মার্কেটে ৬-৭ টি দোকান ছিল। রেল কতৃপক্ষের দাবি এই মার্কেটটি ছিল অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। মার্কেটের পাশে মেইন রাস্তার ধারে সাবি বদ্ধভাবে বেশকিছু দোকান এখনো রয়েছে।
এসব দোকান রেলওয়ের কাছে লীগ নিয়ে করা হয় বলে জানা গেছে। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে সহকারী স্টেট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক জানান, অবৈধ উচ্ছেট অভিযানের অংশ হিসেবে মিনি মার্কেটটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। রেলওয়ে কতৃপক্ষ তার নিজস্ব জমি দখলে নিয়েছে। পাশাপাশি রেললাইন ঘেঁষে ১৭ টি ফলের দোকানও উচ্ছেদ করা হয়। একটি প্রভাবশালী মহল বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে রেলের জমি দখল করে মার্কেট তৈরি করে ছিল। বার বার নোটিশ দেওয়ার পরেও দখল ছাড়েনি।
এদিকে আওয়ামীলীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, জেলাছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগ প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জহুরুল হক মামুন।
তিনি রেলের জমিতে গড়ে তুলেছিলেন মার্কেটটি। এর আগে বেশ কয়েকবার রেলওয়ে এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ছিল। সেই সময় রেল লাইন ঘেঁষে গড়ে তোলা ফলের দোকান গুলো উচ্ছেদ করা হয় শুধুমাত্র। সকলের ধারণা ছিল নেতা মামুন লীগ নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করেছিল। মামুন মারা গেলে এই মার্কেটের আয় দিনে তার পরিবার চলত। এখন শুনছি লীজের কাগজপত্র নেই। লালমনিরহাটের সংবাদকর্মীদের একটি সূত্রের দাবি এই উচ্ছেদকৃত জমিটিতে ৯০ সালের পর হতে লালমনিরহাট প্রেসক্লাব ছিল। প্রেসক্লাব দখল করে সেখানে মার্কেট করা হয়। এমন কি প্রেসক্লাবকে সরাতে ইমারত শ্রমিকদের ব্যবহার করা হয়ে ছিল। পরবর্তীতে ইমারত শ্রমিকদের কে সরিয়ে দেয়া হয়।
রেলওয়ে ভূ সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের অধীনে অবৈধ দখলে থাকা সকল ধরণের ভূ সম্পত্তি পর্যায় ক্রমে দখল মুক্ত করা হবে। এই উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।

Discussion about this post