মোঃ ফয়সাল আলম রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাট-বাঘায় কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তবে বসন্তের আগমনী সঙ্গীত বাজিয়ে জেগে উঠেছে আমের মুকুল। এমন অবহাওয়ায় কুয়াশার কারণে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা। তারা বলছেন, কুয়াশায় আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম। কুয়াশার পরে রৌদ্র উঠায় আমের মুকুল নষ্টের পরিবর্তে মুকুল আরো সতেজ হবে। তবে এ জন্য কিছু ছত্রাক জাতীয় কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।
চারঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এরমধ্যে বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় ৭০ শতাংশ আম চাষ হয়। বাকি ৩০ শতাংশ আম পুরো জেলায় চাষ হয়।
চারঘাট ও বাঘা উপজেলার আম চাষের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া, ভায়ালক্ষিপুর, চারঘাট সদর, সারদা ও শলুয়া এবং বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম, বাউসা, গড়গড়িয়া ইউনিয়নের অনেক বাগানেই আগাম মুকুল এসেছে। আর আগাম মুকুল আসায় চাষিদের মাঝে যেমন আনন্দ বইছে, তেমনি ঘনকুয়াশায় মুকুল নষ্টের আশঙ্কাও রয়েছে। সরজমিনে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কালুহাটি গ্রামের আম চাষি বাহাদুর রহমান বলেন, প্রায় ৭ বিঘা জমিতে আমের বাগান রয়েছে। গত দুই বছর বাগানে মুকুল আসেনি। ফলে অনেক গাছ কেটে ফেলেছি। তবে এখন যেসব গাছ আছে সেগুলোতে আগে ভাগেই এবার মুকুল এসেছে। এতে মনে ব্যাপক আনন্দ বইছে। তবে কুয়াশায় মুকুল নষ্ট না হলে এবার ব্যাপক আমের ফলন হবে বলে আশা করেন আম চাষি বাহাদুর রহমান।
উপজেলার ভায়ালক্ষিপুর ইউনিয়নের আম চাষি ও ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, কিছু কিছু আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আর ১০ দিন গেলে পুরো বাগানের গাছেই মুকুল ফুটে উঠবে। তাই ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে করা হচ্ছে কীটনাশক। এতে পোকা যেমন দূর হবে, তেমনি গাছে দেখা দেবে স্বাস্থ্যকর মুকুল। এতে করে ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদী তিনি।
চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন জানান, আমের জন্য বিখ্যাত চারঘাট উপজেলায় ৪ হাজার ৯০৩ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। পৌষের শেষের দিকে লক্ষনভোগসহ স্থানীয় জাতের আম গাছে মুকুল আসার এথনই মোক্ষম সময়। ফলে চাষিদের বাগান পরিচর্যা ওষুধ স্প্রে করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আর চাষিরাও অধিক ফলনের আশায় সে অনুযায়ী কাজ করছেন।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post