রফিকুল্লাহ্ কালবী
জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে কুষ্টিয়ার খাজানগরে মেসার্স সুবর্ণা এগ্রো ফুড প্রোডাক্টসকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গত রোববার এই প্রতিবেদকের ফেসবুক পেজে উক্ত চাউল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের চাউলের বস্তায় জাতীয় পতাকার ছাপ সম্বলিত ছবিসহ একটি পোস্ট করা হলে তা কুষ্টিয়া জেলাপ্রশাসনের নজরে আসে এবং তৎক্ষণাৎ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম খাজানগরে সুবর্ণা এগ্রো ফুডের কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করে।
পরিচালিত অভিযানে দেখা যায় উক্ত এগ্রো ফুডের গুদামে হাজার হাজার চাউলের বস্তার গায়ে জোড়া জাতীয় পতাকার ছাপ। এসব বস্তা ট্রাকে লোড-আনলোড করার সময় স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় পতাকা শ্রমিকদের পায়ে পিষ্ট হয়। তাছাড়া দীর্ঘ বছর ধরে সুবর্ণা এগ্রো ফুড আঠারো কোটি মানুষের জাতীয় পতাকার প্রতি ভালোবাসার আবেগকে ব্যবহার করে ব্যবসা করে চলেছে। অভিযান চলাকালে মিল মালিককে জরিমানাসহ জাতীয় পতাকার ছাপকৃত বস্তার চাল ঢেলে বস্তাগুলো খালি করা হয়, কিন্তু বস্তাগুলো ধ্বংস করা হয়নি। তবে ঘটনার দুইদিন পরে আজ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাজারে সুবর্ণা এগ্রো ফুডের জাতীয় পতাকার ছাপকৃত বস্তায় দোকানে শত শত বস্তা চাউল দেখা গেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সুবর্ণা রাইচ মিলের মালিক মোহাম্মদ আলি জিন্না বলেন, আগের ছাপানো কয়েক হাজার বস্তা রয়ে গেছে, ওগুলো শেষ হলে তিনি আর নতুন করে জাতীয় পতাকার ছাপ দিয়ে বস্তা ছাপাবেন না।
জানা যায়, আওয়ামী শুভাকাঙ্ক্ষী এই শিল্পপতির সুপারিশে গত ১৫ বছর ধরে এলাকার অনেক বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তিনি ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এখনও জাতীয় পতাকার ছাপকৃত বস্তায় চাউল বাজারজাত করা হচ্ছে তাহলে কোম্পানি সিলগালা করা হবে। জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও এই প্রতিবেদকের কাছে একই জবাব দিয়েছেন।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post