মাহাবুল ইসলাম, গাংনী: মেহেরপুরের গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজে তারুণ্যের পিঠা উৎসব ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুল্লাহ আল মাসুম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিরা জাতীয় পতাকা উত্তোজন, ফিতা কেটে ও পাইরা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এরপর বিভিন্ন পিঠার স্টল ঘুরে দেখেন।
উৎসবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ২৫ টি স্টল সাজিয়ে ছিলেন শত রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠা দিয়ে।
মেলায় শোভা পাচ্ছে, স্বতীন পিঠা, বেক্কল জামাই, মেয়েদের মন, জামাইয়ের প্যাচ, ভালবাসার লাল গোলাপ, পিয়াসা, পাটি সাপটা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, মালাই রোল, চিটা রুটিসহ শতাধিক ধরণের পিঠা। ভোজন রসিকরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর স্বাদ নিচ্ছেন। সেই সাথে অনেকে এসেছেন তাদের সন্তানদেরকে পিঠা পুলির স্বাদের পাশাপাশি পিঠার সাথে পরিচয় ঘটাতে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পিঠা উৎসব পিঠা পুলির সাথে মানুষের পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যম। এ আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মরা যেমন হরেক রকম পিঠার সাথে পরিচিত হতে পারছে তেমনি স্বাদ নিতেও ভুলছেন না। এমনি আয়োজন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করা উচিৎ।
পিঠা উৎসব উপভোগ করতে আসা পিঠা প্রেমীরা বলেন, বিদেশী অনেক খাবার আমাদের দেশে জায়গা করে নিয়েছে। যার ফলে মায়েদের হাতের অনেক পিঠা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। প্রতিবছর পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হলে নতুন প্রজন্ম দেশি পিঠার সাথে পরিচিত হতে পারবে।
কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা বলেন, গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে শীতকালে নানা ধরণের পিঠাপুলি তৈরি হয় প্রতিটি বাড়িতে। বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। পিঠা উৎসবের আয়োজন এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ।

Discussion about this post