স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার মিরপুর প্রেসক্লাবে প্রশাসন ও রাজনীতিক নেতৃবৃন্দর সাথে সাংবাদিকদের একমত বিনিময় সকল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে ক্লাব কার্যালয় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষের প্রকৃত গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে।
ভোটের অধিকার ও বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। মানুষ মানুষের মুখের কথা বলতে পারতো না। এসব কারনেই ৫ই আগষ্টের সৃষ্টি। দেশের বর্তমান অবস্থাতে পুলিশ এখনও পা শক্ত করে দাঁড়াতে পারেনি। দেশে নির্বাচিত সরকার না আশা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মাদক সম্পর্কে তিনি বলেন, এলাকার মাদকসেবী বা ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় নয়। প্রত্যেকটি এলাকায় কমিটি করে মাদক নির্মূলের জন্য যা যা করার তার জন্য আমি সার্বিক সহযোগিতা করবো। মাদক বা মাদকসেবীর ব্যাপারে কেউ সুপারিশ করলে তাকে অন্তত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কমপক্ষে সাতদিন জেলে রাখার ব্যবস্থা করবেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দয়া করে কেউ উপজেলা ও থানাকে দলীয় কার্যালয় বানাবেন না। কোন সমস্যা থাকলে উপজেলা বা থানাতে যাবেন, কাজ শেষ করে দ্রুত চলে আসবেন। ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে বসে থাকবেন না। কোন নেতা বা কর্মী অন্যায় আবদার করলে সেটাকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্য উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে তিনি অনুরোধ করেন। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু অপশক্তি মাথা চাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। এব্যাপারে প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। মিরপুর সম্পর্কে তিনি বলেন, মিরপুরের মাটি ও মানুষের সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে আমি সরাসরি মিরপুর-ভেড়ামারা ও দৌলতপুর অঞ্চলে যুদ্ধ করেছি। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ভেড়ামারার চেয়ে মিরপুরেই বেশি উন্নয়ন করেছি। অবহেতি মিরপুরে ওই সময় কোন পাকা রাস্তা ছিল না। চারিদিকে ছিল শুধু কাদা আর কাদা। কোন গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। কোন উন্নয়নের ছোঁয়া এখানে ছিল না। মিরপুর-ভেড়ামারাতে যত পাকা রাস্তা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যত ভবন নির্মাণ হয়েছে সব আমার আমলে।
পরিশেষে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রেল ষ্টেশনের সমস্যার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্থ করেন।
প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমনের সঞ্চালনে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মেশকাতুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ পিযুষ কুমার সাহা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণি সম্পদক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফি, উপজেলা প্রকৌশলী জহির মেহেদী হাসান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাঈফ আহমেদ নাসিম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ, মিরপুর থানার তদন্ত অফিসার আব্দুল আজিজ, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন, যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক বাবু, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুর রশিদ, ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার টিপু সুলতান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক শাহ আক্তার মামুন প্রমুখ। প্রেসক্লাবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি বাবলু রঞ্জন বিশ্বাস, হাজী আছাদুর রহমান বাবু ও সাবেক আহবায়ক হুময়ুন কবির হিমু। এসময় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাঞ্চন কুমার হাওলাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহাম্মেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলম মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরদে খোদা সবুজ, ক্রীড়া ও সাহিত্যে সম্পাদক আব্দুল মালেক জোয়ার্দ্দার, সদস্য মিলন আলী, শেফাদুল ইসলাম চান্নু, আবু হেনা মস্তফা কামাল, আশরাফুল আলম হীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post