কুষ্টিয়ার মিরপুরে নিখোঁজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলা নামক এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে আগের দিন রাতে নিখোঁজ ওই স্কুল ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখমী লাশ পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
নিহত স্কুল ছাত্রী খন্দকার উম্মে ফাতেমা (১৪) বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী এবং মিরপুর পৌরসভার ওয়াবদা পাড়া এলাকার খন্দকার সাইফুল ইসলামের কন্যা।
ফাতেমা গতরাত থেকে নিখোঁজ ছিলো বলে সকালে মিরপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে তার পিতা খন্দকার সাইফুল ইসলাম।
নিহত ওই ছাত্রীর পিতা সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত ১১টার সময় ভাত খেয়ে তার নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায় ফাতেমা। রাত ২টার দিকে তার ঘরের দরজা খোলা দেখে আসপাশে অনেক খোজাখুজি করেও কান সন্ধান পায়নি। বিষয়টি জানিয়ে বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে মিরপুর থানায় একটি জিডি করি। পরে বেলা ৩টার দিকে লোকমুখে জানতে পারি যে উপজেলার ভাঙ্গাবট তলা নামক এলাকার ভুট্টা ক্ষেতে মেয়ের লাশ পড়ে আছে। এটা পরিকল্পিত ভাবে অপহরণ করে সব রকম নির্যাতন করে হত্যা করেছে পাষন্ডরা। আমি এর বিচার চাই।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উম্মে ফাতেমা নামের ঐ স্কুল ছাত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সুরুতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর পূর্বে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা বা কি ধরণের নির্যাতন চালানো হয়েছে তা ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে জানা যাবে। এঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের পিতা খন্দকার সাইফুল ইসলাম তার কণ্যা নিখোঁজ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এখন মামলা দায়েরসহ এঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে।

Discussion about this post