কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব এবং আওয়ামী লীগ-জাসদ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলের একাংশের নেতারা।
তাদের অভিযোগ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার আত্মীয়কেন্দ্রিক “মামা-ভাগ্নে পকেট কমিটি” গঠন করেছেন, যেখানে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টায় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জেলা বিএনপির ত্যাগী ও পদবঞ্চিত নেতারা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতৃত্বে বিএনপি চরম সংকটে পড়েছে। তারা চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে লিপ্ত থেকে আওয়ামী লীগ-জাসদ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছে। এতে করে ত্যাগী নেতাকর্মীরা অবহেলিত হচ্ছেন। বর্তমান কমিটিকে অকার্যকর, বিতর্কিত ও দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টকারী আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, শহর বিএনপি গঠনে কারচুপি, তিনটি ওয়ার্ড কমিটি বাদ রেখে সম্মেলন, ব্যালট পেপার জালিয়াতি এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কমিটি গঠন এর স্পষ্ট উদাহরণ।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কুমারখালী থানা ও পৌর বিএনপিতে কোনো ওয়ার্ড কমিটি না করে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খোকসা থানার ইউনিয়নগুলোতেও একইভাবে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে একদিনে একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সহ-সভাপতি করা হয়েছে একজন মৃত ব্যক্তিকে, আর পান্টি ইউনিয়নের সভাপতি করা হয়েছে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিনকে।
নেতারা অভিযোগ করেন, কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার জাকির সরকার আগামী সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ আগস্টের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের কথা থাকলেও তারা তা করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে বর্তমান কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই কমিটি বিলুপ্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুল হাসান অপুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন—সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, কাজল মাজমাদার, আবদুর রাজ্জাকসহ সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের পদবঞ্চিত নেতারা।

Discussion about this post