নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সি-ট্রাকের মাস্টারের বিরুদ্ধ বয়ার চরে নদীর তীর রক্ষার জন্য ফেলা বালিভর্তি জিও ব্যাগ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদে গতরাতে (বুধবার) চেয়ারম্যান ঘাটে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিছিলে সি- ট্রাক মাস্টার আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তার বিচার দাবিতে নানা রকম শ্লোগান দেওয়া হয়।
মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, হাতিয়ার বয়ার চরে নদী ভাঙন রোধকল্পে স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সরকারিভাবে মেঘনা নদীর তীরে বালিভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়া হয়। এসব জিও ব্যাগ যাতে নৌ চলাচলের সময় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য নদীতে কিছু লগির (খুঁটি) সাথে নিশানা পতাকা দেওয়া হয়েছে।
এরপরও চেয়ারম্যা ঘাট-নলচির নৌপথে চলাচলকারী এস.টি সৈবাল সি-ট্রাকের মাস্টার (চালক) আফজাল হোসেন সি-ট্রাকের ধাক্কা দিয়ে দুই দফা ছয়টি করে ১২টি জিও ব্যাগ ছিঁড়ে ফেলেন। এতে করে জোয়ারের সাথে জিও ব্যাগের বালিগুলো সরে যাচ্ছে। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সি-ট্রাকের ধাক্কায় নদীতে দুটি লগি ও একটি মাছধরা নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় এ সময়।
এ বিষয়টি সমাধান করার জন্য আফজাল মাস্টারকে স্থানীয় লোকজন বসতে বললেও তিনি না বসে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করেন। সমাবেশ থেকে রাতের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না করলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আফজাল মাস্টারকে সি-ট্রাক চালাতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।
জানা যায়, পরে রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত সি-ট্রাক মাস্টারের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান ঘাটে বৈঠক বসে। বৈঠকে জিও ব্যাগ ছেঁড়ার জন্য দু:খ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ বিষয় আরো সতর্কতা অবলম্বনের অঙ্গিকার করেন সি-ট্রাক মাস্টার। একই সাথে আফজাল মাস্টার নিজ দায়িত্বে ক্ষতিগ্রস্ত জিও ব্যাগ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লগি-নিশানা পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে বিষয়টি সুরাহা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত সি-ট্রাক মাস্টার আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তিনি রিসিভ করেনি।

Discussion about this post