নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রেমিক রুপী আপন (১৭) প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে (১৪) শ^াসরোধ করে হত্যা করে। স্কুল ছাত্রী ফাতেমার প্রেমিকা আপনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃত আপন মিরপুর উপজেলার কুড়িপোল এলাকার মিলন আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ আপনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে আপনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন যাবৎ আপন ওই ছাত্রীকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু আপন বখাটে হিসেবে এলাকায় পরিচিত হওয়ায় ওই স্কুল ছাত্রী বার বার তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এ কারণে আপন ক্ষুদ্ধ হয়ে স্কুল ছাত্রী ফাতেমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) গভীর রাতে ঘাতক আপন প্রেমিকা উম্মে ফাতেমাকে কথা বলার জন্য বাড়ি থেকে পাশ^বর্তী ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর আবারও সে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। আপন একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
নিহত উম্মে ফাতেমা মিরপুর পৌরসভার ওয়াবদা পাড়া এলাকার খন্দকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে মিরপুর বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত ১১ টার সময় ভাত খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায় ফাতেমা। রাত ২টার দিকে তার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে সব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে। এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে স্কুল ছাত্রী উম্মে ফাতেমার পিতা খন্দকার সাইফুল ইসলাম মিরপুর থানায় একটি জিডি করেন। বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলা এলঅকার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে পুলিশ স্কুল শিক্ষার্থী ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে।

Discussion about this post