পৃথিবীর কোন কারখানা অন্ধকারে চলে না। কোন প্রোডাক্ট অন্ধকারে তৈরি হয় না। কিন্তু আমাদের সৃষ্টি যে কারখানায়, সেই মায়ের পেটে, তিন স্তর বিশিষ্ট অন্ধকারে ঘেরা। অথচ সেই সৃষ্টি কত নিখুঁত, কত অদ্ভুত সুন্দর!
কুরআনের আলোকে মানব দেহের কিছু তথ্য উপাত্ত
মানুষের দেহে যে DNA আছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০,০০,০০,০০০ কি.মি.। পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত ৫০ বারেরও বেশি বার আসা যাওয়া করলে যে দূরত্ব অতিক্রান্ত হয়, এই দূরত্ব তার সমান।
আর DNA তে যে ইনফরমেশন আছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, তবে তা হবে ৯০০ খণ্ডের বিশালাকার এনসাইক্লোপিডিয়ার সমান। যেখানে প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্ঠা সংখ্যা হবে ৫০০।
মানব দেহে মোট কোষের সংখ্যা হলো ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। সেন্সরি রিসেপ্টর আছে ১১০ মিলিয়ন। লৌহিত রক্ত কণিকা (RBC) আছে ৩০ ট্রিলিয়ন। শুধুমাত্র মস্তিষ্কেই নিউরন সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন।
(পোস্টের এই ছবিটি ঠিক চামড়ার নিচের অংশ। এভাবেই যদি দুনিয়াতে পাঠাতেন, সুন্দর চামড়ার আবরণ না থাকতো কেমন হতো তখন? কাউকে দেখে মায়া ভালবাসা তৈরি হতো না। থাকতো না হাসি কান্নার এই অভিব্যক্তি।)
দেহে মোট ব্লাড ভেসেল আছে ৪২ বিলিয়ন, যা ৯৭,০০০ কি.মি. লম্বা।
একটু চিন্তা করুন তো! এক হাত লম্বা একটা হেডফোন অতি যত্ন করে রেখে দিলেও জট পাকিয়ে যায়। কিন্তু আপনার দেহের ৯৭,০০০ কি.মি. ব্লাড ভেসেল কখনোই জট পাকিয়ে যায় নি।
দীর্ঘ এই ব্লাড ভেসেলগুলো কী অদ্ভুত সুক্ষ্মভাবে তৈরি। নেই কোন কম্প্লিকেশন বা জটিলতা।
সুবহানআল্লাহ ❤️
“এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করি ঐ সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা চিন্তাভাবনা করে।”
(সূরা ইউনুস, আয়াত : ২৪)
পৃথিবীর কোন কারখানা অন্ধকারে চলে না। কোন প্রোডাক্ট অন্ধকারে তৈরি হয় না। কিন্তু আমাদের সৃষ্টি যে কারখানায়, সেই মায়ের পেটে, তিন স্তর বিশিষ্ট অন্ধকারে ঘেরা। অথচ সেই সৃষ্টি কত নিখুঁত, কত অদ্ভুত সুন্দর!
আশেপাশের সব পুড়ে যাওয়ার পর মসজিদ বা কুরআন পুড়লো কিনা, আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ সেখানে খোঁজার প্রয়োজন নেই। পশু পাখির গায়ে তাঁর নাম অংকিত রয়েছে কিনা, মেঘের ভাঁজে তাঁর নাম ফুটে উঠেছে কিনা, প্রয়োজন নেই তা দেখার।
তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ আমরা নিজেরাই। তিনি আল্লাহ ❤️ মানুষের এই শরীরের নির্মাতা।
“আর তোমাদের মধ্যেই রয়েছে নিদর্শন, তোমরা কি দেখো না?”
(সূরা যারিয়াত,আয়াত : ২১)
RIZWANUL KABIR (সূত্র কমেন্টসএ)
——দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকার পাঠকদের জন্য সংগৃহীত লেখা টি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক উপ সচিব এন এম সেলিম গাজী।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post