কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কোচিং ছাড়ল ছাত্রী !
কুষ্টিয়ায় এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে কোচিং সেন্টার থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, কুপ্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষকরা। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া শহরের সোহান'স ভার্সিটি এডমিশন কোচিং সেন্টারে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ মার্চ) অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন- সোহান'স ভার্সিটি এডমিশন কোচিং সেন্টারের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফয়সাল আহমেদ তুর্জ, অফিস সহকারী আশরাফুল ইসলাম ও কোচিং সেন্টারটির পরিচালক নাহিদুল ইসলাম সোহান। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শহরে কোর্টপাড়া এলাকার এক ছাত্রী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত সোহান'স ভার্সিটি এডমিশন কোচিং সেন্টারে মানবিক শাখায় পড়েন। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে কোচিং সেন্টারটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফয়সাল আহমেদ তুর্জ অশ্লীল কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বিষয়টি কোচিং সেন্টারটির অফিস সহকারী ও পরিচালককে জানালেও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। উল্টো তাঁরায় আমাকে অশ্লীল প্রস্তাবে রাজি হতে বলেন এবং বিষয়টি জানাজানি হলে আমাকে হত্যার হুমকি দেন তারা। আমি আপনাদের মাধ্যমে শিক্ষক নামের কলঙ্ক এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে সোহান'স ভার্সিটি এডমিশন কোচিং সেন্টারের পরিচালক নাহিদুল ইসলাম সোহান বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল ও তার ভাইয়েরা আমাদের কোচিং সেন্টারে এসে চাঁদার টাকা দাবি করে আসছে। টাকা দিতে আমরা অপারগতা জানালে তারা তার মামাতো বোনকে দিয়ে শিক্ষকদের নাম জড়িয়ে থানায় এজাহার দিয়েছেন। কোনো ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আর কিছুই নয়। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রক্তিম উদ্দিন বলেন,ছাত্রীদের অশ্লীল প্রস্তাব ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা সোহান'স ভার্সিটি এডমিশন কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের এটি নতুন নয়,একাধিক ঘটনার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা আড়াল করতে আমার নাম ও আমার ভাইদের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)দেলোয়ার হোসেন খান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। উভয়পক্ষই অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৮ মার্চ ২০২৩