প্রভাষক রীতা গুপ্তা, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ।।গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাঁচামরিচের পাইকারি বাজারে কেজিতে কমেছে প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
ফলে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১শ’ টাকা কেজিদরে। অথচ গত এক সপ্তাহ আগে একই কাঁচামরিচের দাম ছিল প্রকারভেদে প্রতিকেজি ১শ’ ৫০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারি কাঁচা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল প্রকারভেদে ১শ’ ৫০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা কেজিদরে। একই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ১শ’ টাকা কেজিদরে। তবে দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ১শ’ ২৫ টাকা থেকে ১শ’ ৩০ টাকা কেজিদরে। আবার খুচরা বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১শ’ ১০ থেকে ১শ’ ১৫ টাকা কেজিদরে এবং দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১শ’ ৩৫ থেকে ১শ’ ৪০ টাকা কেজিদরে। হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতা মাঝে।
বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক ধীমান চন্দ্র সাহা বলেন, কাঁচামরিচের দাম অনেক কমেছে। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে এককেজি কাঁচামরিচ কিনতে হয়েছিল ২শ’ টাকা দিয়ে। একই মরিচ শুক্রবার পাওয়া গেলো ৮৫ টাকা কেজিদরে।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা প্রদীপ কুমার বলেন, পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচে দাম কমে হওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম কমে গেছে। গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ১শ’ ৫০ টাকা কেজিদরে কাঁচামরিচ কিনে খুচরা বাজাওে বিক্রি করা হয়েছে প্রকারভেদে ১শ’ ৭০ থেকে ২শ’ টাকা কেজিদরে। বর্তমান বাজারে ভারতের আমদানিকৃত ও দেশি কাঁচামরিচের দাম অনেক কমে গেছে। এ কারণে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচের বেচাবিক্রিও বেড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, কাঁচামরিচের দাম কমে আসায় ক্রেতা সাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ অধিক মুনাফার আশা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা দেওয়া হবে। কারণ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং অব্যাতহ রাখা হয়েছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৯ আগষ্ট-২০২২