জেলা সদরের গোকুন্ডার তিস্তায় ২’শত বছরের পুরনো শিব মন্দিরের মূর্তিকে বা কাহারা শুক্রবার ভোর রাতে কোন এক সময় ভাঙচুর করেছে। সেই সাথে এই দূর্বৃত্তরা মন্দিরের দানবাক্সের টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। মন্দিরটি তিস্তা বাজারের ১টি ঐতিহ্যবাহী সার্বজনীন শিব মন্দির ছিল। দুই সপ্তাহ আগে সদরের চিনি পাড়া দূর্গা মন্দির সহ ২১ জায়ড়ায় এক যোগে আগুন দিয়ে ছিল। একর পর এক দূর্বৃত্তায়নের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি দূবর্ৃৃত্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। তিস্তা বরাবরের মত আওয়ামীলীগের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দূর্গ হিসেবে খ্যাত। এই ঘটনা সুপরিকল্পিত বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বাসীরা অভিযোগ করেন।
তিস্তা বাজার সার্বজনীন শিব মন্দিরের সভাপতি সুরেন্দ্র প্রসাদ গুপ্ত জানান, সকাল বেলা জানতে পারি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে। প্রাচীন এ মন্দিরে তিনটি শিব লিঙ্গ ও ত্রিশুল ভাঙচুর করা হয়েছে। মন্দিরে ভক্তদেও দেয়া অনুদানের বাক্সের সব টাকা বাক্স ভেঙ্গে নিয়ে গেছে দূর্র্বত্তরা। দুই সপ্তাহ পূর্বে জেলা সদরের চিনিপাড়ায় ১টি মন্দিরে বাহিওে সহ ২১ স্থানে একই সাথে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ এই ঘটনার কোন ক্লু বের করতে পারেনি। তার মধ্যে শিব মন্দিও ভাংচুর ও ভুট করার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েকজন দুর্বৃত্তকারী গত রাত সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটার দিকে অনধিকার প্রবেশ করে শিব মূর্তি আংশিক ভাঙচুর করে ও দানবাক্স লুট কওে নিয়ে যায়। দান বাক্সে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা ছিল বলে অনুমান করে বলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মন্দিরটি রাস্তার পাশে এবং নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। যার কারনে দুঃস্কৃতিকারীরা এ ঘটনা টি ঘটাতে সাহস দেখিয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব। সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ এরশাদুল আলম জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। ক্লু কিছু পেয়েছি। মাঠে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। মূলত এটা চুরির জন্য হয়েছে। শিব মূর্তি গুলোকে কষ্টিপাথরের কিনা পরীক্ষা করতে ভেঙ্গেছে। যখন দেখেছে মূর্তি গুলো কষ্টিপাথরের নয় ফেলে রেখে চলে গেছে।
বা// দৈনিক দেশতথ্য// ১৯ নভেম্বর//
