স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার সন্তান রেজাউল করিম পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হলেন।
১৮ মে উপসচিব তৌহিদ বিন হাসান স্বাক্ষরিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-৩ শাখার ০৫.০০.০০০০.০০০.১৩৩.১২.০০৪২.১৭১ নং স্মারকে রেজাউল করিম সহ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
রেজাউল করিম ১৫ তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে কর্ম জীবন শুরু করেন। তিনি ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি সিলেটে পুলিশ কমিশনার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০ মে ঢাকাস্থ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মতিউর রহমান শেখ তাকে র্যাক ব্যাজ পরিয়ে দেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে রেজাউল করিম এসএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিলেট মহানগরে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে বহুমুখী চেষ্টায় সফল হন তিনি। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি, পুলিশি কার্যক্রম গতিশীল করা, হকার ও যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং অসময়ে মহানগরে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত নিষিদ্ধ রিকশা চলাচল বন্ধ করা, চোরাচালানের মূল হোতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং মাদকদ্রব্য কেনা-বেচা-সেবন ও জুয়া-পতিতাবৃত্তি বন্ধে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হন। এ সকল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি চলতি বছর বিপিএম পদক অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ২১শে আগস্ট কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের কেউপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৃত জাবেদ আলী বিশ্বাস। তিনি ১৯৮৪ সালে মশার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮৬ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এপ্লাইড ফিজিক্সে অনার্স ও মাস্টার সম্পন্ন করেন। তার এ সাফল্যের উচ্ছ্বাসিত কুষ্টিয়াবাসী।

Discussion about this post