নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা হুসনুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ এবং সহকারী অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, অগ্রীম নিয়োগপত্র ও রেজুলেশন খাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর করতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সভাপতি আল মাসুদ মুর্শেদ শান্ত’র বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ১৭ জুন খোকসা বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিয়োগ পরীক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার ১৭ জুন হুসনুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ এবং সহকারী অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা খোকসা বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অধ্যক্ষ পদে ৬ জন এবং সহকারী অধ্যক্ষ পদে ৪ জন অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা শেষে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুক কে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে জোরপূর্বক অবরুদ্ধ করে রাখে মাদ্রাসার সভাপতি আল মাসুদ মুর্শেদ শান্ত। অবরুদ্ধ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিকট থেকে অগ্রীম নিয়োগপত্র ও রেজুলেশন খাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়ার চেষ্টা করে বলেও তারা জানায়।
খোকসা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমূল হক বলেন, এ বিষয়ে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে আমাকে কোন কিছুই জানানো হয়নি। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি আমি অবগত নই।
এদিকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুক বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় মাদ্রাসার সভাপতি আল মাসুদ মুর্শেদ শান্ত’র মনোনীত প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষা সন্তোষজনক না হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ দিতে ডিজির প্রতিনিধি সরকারী মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার সহকারী পরিচালক আফাজ উদ্দীনকে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় ডিজির প্রতিনিধি ও শান্ত’র মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে স্থানীয় জনগণ উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে ডিজির প্রতিনিধি কোন কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে কথা বলতে হুসনুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি আল মাসুদ মুর্শেদ শান্ত’র মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post