জেলায় প্রভাবশালী বিএনপি নেতার ইশারায় চলছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় দীর্ঘদিন ধরে। কোথাও আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রণে নেই। এক ব্যবসায়িক নেতার আর্থিক সুবিধা দিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় জেলায় কথিত বাণিজ্য মেলার আয়োজন করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে এই কথিত বাণিজ্য মেলার চুক্তি নিয়ে অসচ্ছতা ও দূর্নীতির অভিযোগে তুলে লালমনিরহাট চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক আলী আলী আহসান নয়ন। তিনি এক যুবলীগ নেতা হুমায়ন কবির একক ভাবে চেম্বার কে পাশ কাটিয়ে মাত্র ২৬ লাখ টাকা চুক্তিবন্ধ হয়ে বাণিজ্য মেলার অনুমতি দিতে চেম্বার অফ কমার্সকে প্রভাবিত করে।
চেম্বারের পরিচালক দ্বয়দের মিটিং ছাড়া এই মেলার আয়োজনের চুক্তি বাতিল চায়। সেই সময় চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালকদের ন্যায্য দাবির মুখে মেলা স্থগিত হয়ে যায়। দুই মাস স্থগিত থাকার পর পুনরায় ঐ চক্রটি বিএনপি সমর্থিত চেম্বারের এক নেতার মদপুষ্ট হয়ে ঐ যুবলীগ নেতা পুনরায় মেলার আয়োজন করে। এবারে চুক্তিমূল্য নিধারিত হয় ৩৪ লাখ টাকা। এ ব্যাপাওে যুবলীগ নেতা ও চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ হুমায়ন কবীর জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। মেলা সকলে মিলে মিটিং করে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চেম্বার অফ কমার্সের সচিব প্রতাব চন্দ্র জানান, দুই সপ্তাহ আগে চেম্বারে জরুরী মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে মেলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে মাত্র। কোন চুক্তি হয়নি। তাহলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কোন অনুমোদ ছাড়া কিভাবে খেলামাঠ দখল করে কারা মেলার অবকাঠামো নির্মাণ করছে।
জেলার কালেক্টরিয়েট মাঠে এক মাস ব্যাপী চেম্বার অফ কমার্সের আয়োজনে কথিত বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই মেলার প্রস্তুতি হিসেবে কাল্ক্টেরিয়েট মাঠে কাজ চলছে। মেলা মাঠের মাত্র ৫শত গজের ভিতর মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ ও কলেজের ছাত্রী নিবাস, কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চার্চ অফ গড্ উচ্চ বিদ্যালয়(মিশন স্কুল), গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি রেলওয়ে চিলন্ডেন পার্ক উচ্চ বিদ্যালয়, মার্কাস হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ, শিল্পকলা একাডেমি, পাবলিক গণগ্রন্থাগার, পাবলিক লাইব্রেরী ও ১টি ইসলামিক কিন্ডারগাডেন স্কুল প্রমুখ রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা উত্তরা লের সবচেয়ে অবহেলিত জেলা গুলোর মধ্যে ১টি। তিস্তা ও ধরলা নদী ব্যাষ্টিত জেলায় নদীভাঙ্গন, বন্যা ও প্রাকৃতি দূর্যোগ কারনে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক পিছিয়ে। জেলায় স্থায়ী কর্মসংস্থানের অভাবে মৌসুমি বেকারত্ব সৃষ্টি হয়। সেটাকে এই অ লের মানুষ মঙ্গা বলে। বর্তমান সরকার ধারাবাহিক সরকাওে থাকায় নানা উদ্যোগ নেয়ায় মৌসুমি বেকারত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়ে ছিল। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ঘটে ছিল কিন্তু দুই বছর করোনাকালীন বৈশ্বয়িক মহামারী উত্তরের এই জেলাকে পুনরায় অর্থনৈতিক ঝুঁকি ও বেকারত্ব সৃষ্টি করেছে। মঙ্গা পুনরায় ফিরে আসার মত উপক্রম সৃষ্টি হয়েছে অর্থনীতিতে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে দাম, আয় হ্রাস নানা কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
সেই মূহুর্তে মেলা তাদের উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হবে। এদিকে এই জেলা সীমান্ত ব্যাষ্টিত জেলা। এই জেলায় ২৮৫ কিলোমিটার সীমান্ত তার মধ্যে প্রায় ৭৫ কিলো মিটার সীমান্তে কোন কাঁটাতারের বেড়া নেই। জেলায় জঙ্গি সংগঠন ঝুঁকিপূর্ণ। এখন পর্যন্ত দেশে যে কয়টি জঙ্গি তৎপরতার ঘটনা ঘটেছে সবগুলোতে এই জেলার জঙ্গি যুবক জড়িত ছিল। তাদের অনেকে এখন জেলে। পুনরায় জঙ্গিরা নাশকতা মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা জানান দিতে চায়। মেলা হতে পাওে সেই টার্গেট পূর্ণ স্থান। পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এখনো স্থানীয় প্রশাসন কোন মেলার অনুমতি দেয়নি।

Discussion about this post