মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা :মির্জাপুরে অবহেলিত পাহাড়ি জনপথের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের মধ্যে জনসচেতনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) মির্জাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের শিশুরা উৎসাহ উদ্দিপনা এবং আনন্দের মধ্যে পাঠদানে ব্যস্ত সময় পার করছে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, একটি পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে গোড়াই, লতিফপুর, আজগানা, তরফপুর এবং বাঁশতৈল ইউনিয়ন হচ্ছে পাহাড়ি এলাকা। এদের মধ্যে আজগানা এবং বাঁশতৈল ইউনিয়নে রয়েছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবারের বসবাস। এক সময় এখানকার যোগাযোগ ছিল খুবই নাজুক অবস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ছিল অবহেলিত। বর্তমান সরকার শিক্ষার গুনগত পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করায় গত ১০ বছরের ব্যবধানে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর পরিবারের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। শিশুদের বিনামুল্যে বই বিতরন, উপবৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন উপকরন দেওয়া হচ্ছে। ফলে শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করছে।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান এবং আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের সিকদার বলেন, পাহাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবারের জীবন মান বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে খোঁজ খবর নিয়ে সার্বিক ভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তাদরে দিকে বেশী করে বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য তারা জোর দাবী জানিয়েছেন।
বাঁশতৈল ইউনিয়নের আউশাচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রোমেজ উদ্দিন এবং গায়রাবেতিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর পরিবারের শিশুরা এখন নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছে। অভিভাবক এবং শিশুদের মেধ্য সচেতনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর পরিবারের শিশুরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করছে। এলাকায় শিক্ষার হার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানয়ি সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম এবং মীর্জা শামীমা আক্তার শিফার সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবারের শিশুরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তাদের বিভিন্ন ভাবে সরকারী প্রনোদনা এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post