সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: লালমনিহাটে রেললাইনের পাশে শত শত একর রেলওয়ের কৃষি জমি অবৈধদখল করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। প্রভাবশালী মহল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়ে সেখানে মাছ চাষের ঘের তৈরি করছে। যার কারণে রেললাইন, পরিবেশ ও প্রকৃতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় শহর। বর্তমান সরকার যখন লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের মোগলহাট গিদালদহ ও বুড়িমারী চ্যাংরাবান্ধা রেলরুট দুইটি দিয়ে ভারতের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই সাথে লারমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগকে মিটার গেজ রেলওয়ের পাশাপাশি ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই মূহুর্তে রেলওয়ের ভূ সম্পতি অবৈধ দখলের মহৎসব চলছে। লালমনিরহাট ষ্টেশন ও লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজারের দপ্তর হতে মাত্র এক হাজার মিটার দুরে রেললাইনের ধার ঘেঁষে বিশাল ভেকু মেশিন লাগিয়ে শতশত একর রেলওয়ে কৃষিজমিতে বিশাল পুকুর খনন করছে প্রভাবশালী মহল। এসব ঘেরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালীর মহলটি দিনরাত ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে ঘের তৈরি করছে । এই অবৈধ কাজ বন্ধে করার কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে কোন অবস্থায় কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর, ঘের খনন করা যাবে না। আবার পুকুর ও জলাশয় ভরাট করে প্রাকৃতির পরিবেশ বিনষ্ট করা যাবে না। এখানে প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মানা হচ্ছেনা। এছাড়াও রেলওয়ে ভূ- সম্পদ রাষ্ট্রের সম্পদ। রাষ্ট্রের সম্পদ অবৈধ দখলে রেখে ঘের স্থাপন বেআইনি। রেলওয়ের সম্পদ রক্ষা যাদেও দায়িত্ব তারা সময়মত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ রহস্যজনক কারণে নেয়না।
এমন অভিযোগ রেলওয়ে সাধারণ কর্মীদের।
এব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) মোঃ আব্দুস ছালাম কে অবৈধ ভাবে রেলওয়ের কৃষিজমিতে ভেকু দিয়ে কনন করে ঘের করার কথা জানানো হয়। তিনি রেলওয়ে বিভাগী ভূ সম্পদ কর্মকর্তা পূনিন্দ্রনাথ দেব (০১৭১১৬৯২৮৮৭) নম্বর দিয়ে জানাতে বলেন। ঘের খননের কোন অনুমতি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ধরণের কাজের অনুমতি দেয়ার অথরিটি নয়। ভূ – সম্পদ কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ডিআরএম কে ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেনি। তাই প্রশ্ন উঠেছে রেলওয়ের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বকার?
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post