কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ মোছা. হাওয়া খাতুন (৬৫)। স্বামী – সন্তান নেই। অন্যের বাসা-বাড়িতে ঝাড় দেওয়া ও মোছার কাজ করে কোনরকম একবেলা খেয়ে না খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু কদিন আগে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে আহত হওয়ায় এক প্রকার অর্ধাহারে-অনাহারে কাটছে জীবন। উপায়ান্তর না পেয়ে সাহায্যের আশায় হতদরিদ্র ওই বৃদ্ধা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দায় গিয়ে বসে পড়েন। এসময় কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল তাঁর নিজ কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজ সারছিলেন।
হতদরিদ্র ওই বৃদ্ধার অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে কাজ-কর্ম ফেলে রেখে দ্রুত কার্যালয় ছেড়ে বারান্দায় ছুটে আসেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল। বৃদ্ধা ওই মহিলার সার্বিক খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি তাঁর হাতে আট পদের খাদ্য সহায়তা ও শীত নিবারণের জন্য কম্বল তুলে দেন। পরে বাড়ি পৌছানোর গাড়ি ভাড়াও হাতে গুঁজে দেন মানবিক ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল ।
মঙ্গরবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দায় তাঁকে সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধা ওই মহিলা উপজেলার বাটিকামারা এলাকার ময়েজ উদ্দিনের কন্যা ।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা হাওয়া খাতুন বলেন, দুনিয়ায় আপন বলতে এখন আর কেউ নেই। বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে ঝাড়ু ও ঘর মুছে দিয়ে দেড় থেকে দুই শত টাকার মত আয় করেন। তাই দিয়ে কোন রকম এক বেলা খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। কদিন আগে ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে অচল হয়ে গেছি। স্যার শুনে খাবার, গাড়ি ভাড়া ও কম্বল দিছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ বৃদ্ধা মানুষটি অন্যের বাসাবাড়িতে ঝাড়ুদারের কাজ করেন। তারপর আবার দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে আহত হয়েছেন। অফিস স্টাফদের মুখে শুনে বাইরে এসে খোঁজ খবর নিয়ে সামান্য কিছু সরকারি সহযোগীতা করেছি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post