মোঃ খায়রুল ইসলাম, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতাঃ ‘নদী চর খাল বিল গজারির বন, টাঙ্গাইল শাড়ি তার গরবের ধনথ- এই প্রবাদেই পরিচয় মেলে এক সময়ের টান-আইল তথা টাঙ্গাইলের। কিন্তু কালের আবর্তে এ প্রবাদটি হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই নদী চর খাল বিল এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। স্থানীয়দের অসচেতনতা ও প্রভাবশালীদের দখলী প্রতিযোগিতায় নদী খালগুলো ঘর-বাড়ি, প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও আবাদি জমিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। জেলার নদী ও খাল বিল দিয়ে এখন আর পাল তুলে নৌকা চলতে দেখা যায়না।
এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী ‘শোলাকুড়া বিল’ এখন মরা বিলে পরিণত হয়েছে। নব্যতা সংকটে ভুগছে এ বিল। ফলে সেচকার্য ব্যহত হবার পাশাপাশি দেশীয় মৎস্য সম্পদও আজ বিলুপ্তির পথে। এর প্রভাব পরছে কৃষি, ব্যবসা ও পরিবেশে। দীর্ঘদিন যাবত খনন কাজ না করায় শোলাকুড়া বিল এখন স্বকীয়তা হারাচ্ছে। বর্ষার পানি নদ-নদী হয়ে বিল থেকে নেমে যাবার পর বিলের মাঠ গুলোতে এখন চলছে আমন মৌসুমে ধান রোপণের পালা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগে এই বিলের পানি দিয়ে আশপাশের জমি চাষ করা হতো। কিন্তু বিলে জৌলুস না থাকায় এখন আর সেচ দেওয়া সম্ভব হয় না। পূর্বে এই বিলের পরিধি ছিলো অনেক বড়।
শোলাকুড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাস্টার বলেন, আমাদের গ্রামে দুটি বিল ছিল। বেরন বিল এবং শোলাকুড়া বিল। বেরন বিল ভরাট করে তার উপর তৈরি হয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি সিপি। বেরন বিলের এখন আর দৃশ্যমান কোন অস্তিত্ব নেই। আর শোলাকুড়া বিলটিও এখন বিলোপ্তির পথে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ফিরে পেতে পারি আমাদের সেই বিল।
একই গ্রামের মো. রিয়াজ উদ্দিন ভুলা জানান, এই বিলে ছোট বেলায় অনেক সাঁতার কেটেছি। অনেক স্মৃতি রয়েছে এই বিল ঘিরে। কিন্তু বিলের সেই সৌন্দর্য এখন আর আগের মতো নেই।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//