মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি পরিচিত নাম অ্যাডাম সুমন। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সক্রিয় এই নেতা দলীয় দমন-পীড়নের মাঝেও রাজপথে সক্রিয় থাকায় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি এখন অনুপ্রেরণার প্রতীক।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত অ্যাডাম সুমন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক স্বেচ্ছাসেবকের দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাহসী ভূমিকার জন্য তিনি বরাবরই নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় একাধিকবার কারাবরণ করলেও তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াননি। বরং প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি নিজেকে আরও সক্রিয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
অ্যাডাম সুমনের ভাষায়, আমি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতি করি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
তিনি আরও বলেন, জেল-নির্যাতন সহ্য করেও দলের পতাকা হাতে রেখেছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমি অবিচল আছি।
গাংনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অ্যাডাম সুমনের রাজনৈতিক সংগ্রাম শুধু তাঁকেই নয়, তার পরিবারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মামলা-মোকদ্দমা, আর্থিক সংকট এবং সামাজিক চাপের মধ্যেও পরিবার তাকে সবসময় সমর্থন দিয়ে এসেছে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়েও অ্যাডাম সুমনের মতো সাহসী নেতারা রাজপথে থাকার মাধ্যমে দলের শক্তি ধরে রেখেছেন। তাঁরা বলেন, “দুর্দিনে সুমনের মতো নেতারা আমাদের প্রেরণা। তাঁর সাহসিকতা ও অবিচলতা আমাদের সংগঠনের মনোবল বাড়িয়েছে।
নিজ দলের প্রতি অঙ্গীকার প্রসঙ্গে অ্যাডাম সুমন বলেন, আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি। জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, দমন-পীড়ন, মামলা-হামলা উপেক্ষা করে যেসব নেতাকর্মী এখনো রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন, ভবিষ্যতে তারাই দলের নেতৃত্বে আসবেন। অ্যাডাম সুমনের মতো সংগ্রামী নেতারা বিএনপির আগামীর আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলেও তাঁদের অভিমত।