শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ খুলনার পাইকগাছায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণ ও বড় ভাইয়ের নামে পরিচয়পত্র জমা দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ছোট ভাই কর্তৃক জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনায় আইনজীবীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার (১৪ আগস্ট) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়েছে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত মূল আসামী মোঃ রেজা, নান্নু সরদার ও তাদের পিতা মফিজুল সরদারকে গ্রেফতার করা করেছে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: এজাজ শফী জানান, গত ১ আগস্ট দুপুরে উপজেলার কালুয়া গ্রামের রফিকুল মোল্লার ১৬ বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে একই গ্রামের মোঃ রেজা ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর রেজা তার নিজের পরিচয় গোপন করে বড়ভাই মিল্টন হোসেন বিল্লাল এর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করে।
কিশোরীর মা রোজিনা খাতুন জানতে পেরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য রেজাদের বাড়িতে গেলে তাকে মারপিট করে বের করে দেওয়া হয় বলেও জানানো হয়। তিনি প্রথমত স্থানীয়দের মাধ্যমে মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে পুলিশকে জানান।
থানা পুলিশ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) মধ্য রাতে উপজেলার কালুয়া গ্রামে রেজাদের বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইমরান জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে বিয়ের ঘটনায় পাইকগাছার দু’জন আইনজীবীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কিশোরীর মা রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামী মফিজুল সরদারের ছেলে মোঃ রেজা, মিলটন সরদার, নান্নু সরদার, মফিজুল সরদার, পাইকগাছা আদালতের এডভোকেট শাহানারা পারভিন, নোটারী পাবলিক এডভোকেট সমীর কুমার বিশ্বাস, আবিদ ও সাব্বিরদের মধ্যে মূল আসামী মোঃ রেজা, নান্নু সরদার ও তাদের পিতা মফিজুল সরদারকে গ্রেফতার করা করেছে।