নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনার শাসন আমলে কুষ্টিয়া ভারগোন টোব্যাকো ও ভিকটোর টোব্যাকোর আড়ালে নকল সিগারেট তৈরীর মালিক বনে যান রাইসুল ইসলাম পবন। তিনি দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন স্থানীয় প্রভাব। অভিযোগ উঠেছে সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে তার গোডাউনে তিনি মজুদ করেন তামাক। এলাকায় এখনও আওয়ামীলীগকে মাঠে ফেরাতে চালাচ্ছেন ম্যানেজ ফরমোলা। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করে এখনও বহাল আছেন।
গত বছর জুলাই আগষ্ট গনঅভ্যুথনের সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বানচাল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগের অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত।
জানা যায় শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর থেকে এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তার নিজ অর্থায়নে আশ্রয় দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী আটক হয়েছেন তাদেরও নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ দিয়ে ফিরিয়ে আনার চালাচ্ছেন পায়তারা। কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার প্রতাপপুর এলাকায় গোপনে গোডাউনে রয়েছে নকল সিগারেট তৈরির আস্তানা। তাছাড়াও কুষ্টিয়া জেলার আরো তিনটি স্থানে নকল সিগারেট তৈরির কারখানার সম্ভাবনার আভাস পাওয়া গিয়েছে ।
এরই মধ্যে পৌর এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ময়লার ভাগাড়ের পাশে গড়ে তুলেছেন সরকারি ক্যানালের জায়গা দখল করে কৃষি জমির উপরে গোডাউন ও গোপনে নকল সিগারেট তৈরির করে গড়ে তুলেছেন এক বিশাল সাম্রাজ্য। এক দুইটি কোম্পানির নামে সরকার থেকে অনুমোদন পেলেও বেআইনি কাজে জুরি নেই এই আওয়ামী লীগের দোসর পবনের। সরকারের রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়ে বনে গেছেন অবৈধ শত কোটি টাকার মালিক। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পত্তি।
আওয়ামী লীগে দোষের হওয়ায় রয়েছে বিশাল এক অদৃশ্য শক্তি, মিরপুরে- ভেড়ামারার এমপি কামারুল আরফিন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য অজয় সুরেখা, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার মতো প্রভাবশালী নেতাদের অর্থ যোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের সময় টিকে ছিলেন।
বর্তমানে ৫ আগস্টের পর দেশ স্বাধীন হলেও এই আওয়ামী লীগের দোসর এখনো আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসন করার লক্ষ্যে ও অর্থ যোগান দিতে বহাল তাবিয়াতে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে রইসুল ইসলাম পবনকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

Discussion about this post