আতাহার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার—স্বজনদের বক্তব্য
দেশতথ্য রিপোর্ট:
মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহার আলীকে ১৩ এপ্রিল গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছে মিরপুর থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিজ গ্রাম শিমুলিয়ায় দুই ব্যাক্তিকে গুলি করে আহত করেছেন।
এব্যাপারে আতাহার আলীর ভাই নজু বিশ্বাস জানিয়েছেন, তার ভাই আতাহার আলী আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা। বিগত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী জোটের প্রার্থী হাসানুল হক ইনুর পক্ষে নৌকার ভোট করেছেন। এই অপরাধে প্রতিপক্ষ তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছেন।
ঘটনার আগেও তাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তার নামে ইস্যু করা বৈধ রিভলবার লাইসেন্স বাতিল করার জন্য তাদের প্রতিপক্ষ একাধারে লেগে আছেন।
ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি কমিটির লোকজন নিয়ে গ্রামের মসজিদের জন্য চাঁদা আদায়ে বের হন। তিনি যখন পল্টুর চায়ের দোকানে যান তখন তার প্রতিপক্ষের লোক সান্টু গাজী ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে তাকে আক্রমণ করে। তারা বলে তোর রাজত্ব শেষ। আমরা ট্রাকের ভোট করেছি জিতেছি। তুই নৌকার ভোট করে হেরেছিস। আমরা এমপির লোক। এখন থেকে আমরা এই গ্রামে নেতৃত্ব দেব। এখান থেকে তুই চলে যা। বলেই তারা আতাহার আলী ও আয়নালকে হত্যা করার জন্য ঘিরে ফেলে। এ সময় আতাহার আলী জীবন বাঁচানোর জন্য বৈধ পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে। এই ঘটনায় হাশেম গাজী ও ভ্যানচালক আব্দুল জলিল নামের দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর পুলিশ এসে আতাহার আলী সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।
এরপরপরই সান্টু গাজীর লোকজন আতাহারের আত্মীয় জয়নালের শিশু পুত্রকে মারধর করে। তারা তানজিলের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে। জয়নালের শিশুটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই ঘটনায় জয়নাল ও তানজিল এর পরিবার অভিযোগ দিতেও যেতে পারেনি। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি দে বলেছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৭এপ্রিল ২০২৪//

Discussion about this post