মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াভয় অগ্নিকান্ডে নিহত মেহেদী হাসান (২৬) এর বাড়িতে বইছে শোকের মাতম। হাসান পুড়ে চোখের সামনে মারা গেলেও কোন রকমে বেঁচে গেছে তার বড় ভাই ইসরাফিল (৩০)। দুই ভাই বেইলি রোডের ঐ ভবনের একটি জুস ভারে চাকরি করতেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৫ নং বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে হাসানের বাড়ি। আজ শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে লাশ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে স্বজনদের কান্নায় চার পাশের বাতাস ভারি হয়ে আসছিল। পুরো এলাকা জুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাদ জুমা দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
এদিকে একই ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা গেছে নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শহীদ দানবীল রণদা প্রসাদ সাহার ভারতেশ্বরী হোমসের সাবেক ছাত্রী সম্পা সাহা (৪৪)। সে ভারতেশ্বরী হোমসের এসএসসি ১৯৯৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। তার এই মৃত্যুতে ভারতেশ্বরী হোমসেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দেওড়া গ্রামের কৃতিসন্তান ও আওয়ামীলীগ নেতা টিপু মাহমুদ জানান, হাসানের পিতার নাম মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে আইন উদ্দিন এবং মাতার নাম কল্পনা বেগম। দরিদ্র পরিবারের অন্য যোগাতে দুই ভাই হাসান ও ইসরাফিল বেইলি রোডের ঐ ভবনের একটি জুস ভারে চাকরি করতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যখন ভবনে আগুনের সুত্রপাত হয় দুই ভাই এক সাথে ছিলেন। আগুনের লেলিহান থেকে বাঁচতে বড় ভাই ইসরাফিল দৌড়ে ভবনের উপরে যেতে পারলেও ছোট ভাই মেহেদী হাসান উপরে উঠতে না পেরে আগুনে পুড়ে মারা যায়। মেহেদী হাসানের মৃত্যুতে পুরো পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় এমপিসহ প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে নিহত মেহেদী হাসানের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিরা বিনতে মতিন, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, ওসি মো. রেজাউল করিম ও বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ