Print Date & Time : 4 July 2025 Friday 9:44 pm

আটকে আছে ইডিসিএল এর সিবিএ নির্বাচন

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড একটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। এই সংস্থায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলে কাজ করে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক কর্মচারী। এখানে ট্রেড ইউনিয়ন আছে ৩ টি।

হাইকোর্টের নির্দেশনা মানছে না শ্রম অধিদপ্তর!

জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তভূক্ত একটি ট্রেড ইউনিয়ন (রেজি: নং বি-২১৩৭) এর সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম জানিয়েছেন, এই প্রতিষ্ঠানে সিবিএ নির্বাচন ব্যাক্তি বিশেষের স্বেচ্ছাচারিতায় আটকে আছে। যার ফলে প্রতি নিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতা। সিবিএ নির্বাচন না হওয়ায় শ্রমিক কর্মচারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সাল ১০ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে সিবিএ নির্বাচন। এরপর আর কোন নির্বাচন হয়নি।

শ্রম আইন অনুযায়ী ওই সংস্থায় দুই বছর পর পর সিবিএ নির্বাচন হওয়ার কথা। যথা সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় গত ২০২১ সালের ০৭ জুন এবং ০৩ অক্টোবর এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ  (রেজিঃ- বি-২১৩৭) এর সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম শ্রম মহাপরিচালক বরাবর সিবিএ নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। শ্রম মহাপরিচালক ওই চিঠি দুটির কোন ব্যবস্থা নেননি।

এরপর শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম বাদী হয়ে মহামান্য হাই কোর্ট একটি রিট পিটিশন করেন। যার নং ৯২৯৯/২১। হাইকোর্ট ডিভিশন সিবিএ নির্বাচন করার জন্য কেন আদেশ দেওয়া হবে না মর্মে গত ২১ নভেম্বর/ ২০২১ তারিখ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের উপর রুল জারি করেন। একই সাথে রীট দরখাস্তকারী এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিঃ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (রেজি নং- বি- ২১৩৭) এর সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলমের দেওয়া ০৭/০৬/২০২১ ও ০৩/১০/২০২১ তারিখের চিঠির দাবি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম অদিপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশ দিয়েছেন। ওই আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।

মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ প্রাপ্তির পরও শ্রম মহাপরিচালক সিবিএ নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহন না করে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। এব্যাপারে শ্রম মহাপরিচালককে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (রেজিঃ- বি-২১৩৭) পক্ষে বার বার পত্র দিলেও তিনি কোন উদ্যোগ গ্রহন করেননি।

হাই কোর্ট এর আদেশ ও শ্রমিক ইউনিয়নের অনুরোধ কেন উপেক্ষিত তা জানার উদ্যোগ নেয় দৈনিক দেশতথ্য। এজন্য শ্রম মহাপরিচলকে ১০ মার্চ মোবাইল কল দিয়ে নির্বাচন না দেওয়ার কারন জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার নলেজে নেই। এব্যাপারে পরিচালক গিয়াস উদ্দিনকে কল দিলে তিনি হয়তো বলতে পারবেন।

পরামর্শ অনুযায়ী শ্রম পরিচালক গিয়াস উদ্দিনকে কল দেওয়া হয়। তিনি বলেন এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই কারণে নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা। তবে তার যুক্তির স্বপক্ষে কোন প্রমান তিনি দেখাতে পারেননি। শ্রম পরিচালক গিয়াস উদ্দিনের মন্তব্যের ব্যাপারে ওই সংস্থার ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও রীট পিটিশনকারী বদরুল আলম বলেন, উচ্চ আদালত নির্বাচন দিয়ে আমাদের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আদেশ দিয়েছেন। শ্রম পরিচালক সাহেব অজ্ঞাত কারনে নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এব্যাপারে আমরা আবারো আদালতে যাব। 

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মার্চ ১৬, ২০২২//