নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের ভেতরে একটি নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরির পাইলিংয়ের কাজ চলার সময় গ্যাস লাইন ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭ টায় আগুনের প্রাথমিক সূত্রপাত হলেও সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গ্যাস লাইন ফেটে বিস্ফোরণ হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯ টি ইউনিট কাজ করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ইপিজেডের যে অংশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তার পাশেই সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউস।
এ পাওয়ার হাউসটি ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যদি আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তাহলে এ কেন্দ্রের অধীনে থাকা সকল গ্রাহকরা পড়বেন ভয়াবহ বিপর্যয়ে।
ইপিজেডের ভেতরে গ্যাসের পাইপলাইন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। গ্যাস লাইনের গ্যাস বন্ধ করতে তিতাসের সহযোগিতায় বার বার চেষ্টা করা হলেও এখনো লাইনে গ্যাস রয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সিদ্ধিরগঞ্জ ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালক মাকসুদুর রহমান জানান, আমি সকাল থেকেই এখানে দৃষ্টি রাখছি। তিতাস ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। অবশ্যই এটি একটি বড় ঝুঁকির কারণ। আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেটিতে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। আশা করছি সংশ্লিষ্টরা দ্রুতই এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবেন। তবে এখনো আগুন জ্বলছে। এভাবে আগুন জ্বলতে থাকতে বিপদ হতে পারে।নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, আমাদের ইপিজেড, হাজীগঞ্জ ও মণ্ডলপাড়া স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশনের ৯টি ইউনিট ও ৪৫ জন দক্ষ কর্মী ইতোমধ্যে আগুন নেভাতে কাজ করছেন। আগুনের সূত্রপাত পরে বলা যাবে। কোনো হতাহত নেই।
তিনি জানান, আগুনের তীব্রতা অনেক, তাই কাছে যেতে পারছিলাম না আমরা। গ্যাস লাইনের চাপ কমিয়ে এটি বন্ধ করা হচ্ছে। এখন আরো সামনে গিয়ে কাজ করা হবে। পাইলিং এর কোনো কাজে বা আঘাতে হয়তো পাইপটি ফেটে গিয়ে থাকতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক দিনমনি শর্মা জানান, আগুন নেভাতে গ্যাসের কারণে বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ১৭,২০২২//