হেলাল উদ্দিন,দৌলতপুর (কুষ্টিয়া): আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায়ে দেড় বছর পর ইউপি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেয়েছেন ফারুক আলম পান্না।
সোমবার (৬ অক্টোবর ২০২৫ ) দুপুরে কুষ্টিয়া নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাস প্রকাশ্য আদালতে ভোট পুনর্গণনা শেষে তাঁকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বাবলু ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর মৃত্যু বরণ করলে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
পরে ২০২৪ সালের ৯ মার্চ উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান রানা বিশ্বাস ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আলম পান্না সমান সমান ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে আব্দুল মান্নান রানা বিশ্বাসকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পরদিন সকালেই সংবাদ সম্মেলনে করেন পান্না।ভোটের ফলাফলে কাটচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।পরে ফলাফলের বিরোধিতা করে ওই বছরের এপ্রিল মাসে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ফারুক আলম পান্না। মামলায় তিনি ভোট পুনর্গণনার দাবি জানান।
সোমবার দুপুরে আদালতে ভোট পুনর্গণনা করা হলে দেখা যায়,ফারুক আলম পান্না তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নান রানা বিশ্বাসের চেয়ে ২১৪ ভোট বেশি পেয়েছেন।পরে বিচারক তাঁকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। পান্নার আইনজীবী এডভোকেট শহিদুল ইসলাম গোলাপ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,প্রকাশ্য আদালতে ভোট গণনার মাধ্যমে সঠিক ফলাফল উঠে এসেছে। এতে প্রমাণ হয়েছে,পান্না প্রকৃত বিজয়ী ছিলেন।আদালতের এ রায় সুবিচারের দৃষ্টান্ত।

Discussion about this post