কুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গণে ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি রাজু আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) শহরের এনএস রোড়ে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে কুষ্টিয়ার সাংবাদিকরা।
মানববন্ধনে বাংলাভিশন ও দেশ রুপান্তরের জেলা প্রতিনিধি হাসান আলী বলেন, গত ২৭ এপ্রিল দৌলতপুরের চিলমারীতে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করলো। অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে তিনজন মানুষকে পুড়িয়ে সমাধি করে দিল সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনীরা। গতকাল আদালতে জামিন নিতে এসেছিলো সেই সন্ত্রাসী বাহিনীরা। আদালত তাদের জামিন শুনানী নামুঞ্জুর করে জেলা হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়। সেই সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাদের সহকর্মী রাজু আহমেদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগর বলেন, আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের সামনে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক রাজু আহমেদ। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি চাই। তা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বুধবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাংবাদিক রাজু আহমেদ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ডাক্তার গোলম মওলা, বাংলাভিশন টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসান আলী, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার, গ্লোবাল টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সনি আজিম, ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি রাজু আহমেদ।
মানববন্ধনে অনেকের মধ্যে সাংবাদিক রবিউল ইসলাম ইভান, জাহিদ হাসান, মিজানুর রহমান নয়ন, রবিউল ইসলাম হৃদয়, খালিদ সাইফুল, আমিন হাসান, রফিকুল ইসলাম, আসলাম আলী, মিজানুর রহমান, মাহাফুজ আহমেদ তৌহিদ, সালমান, সুজন আহম্মেদ, কোহিনূর ইসলাম, মোমিন ইসলাম, আবীর হাসান স্বাধীন, মেজবা উদ্দিন পলাশ, খন্দকার বিদ্যুৎ হোসেন, টিপু সহ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী বাজারপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মন্ডল গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। ওই সময় মন্ডল গ্রুপের লোকদের ৫টি বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে দিনু মন্ডল, ফারুক ও আকতার মন্ডল নামে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর জখম ও দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন।
এ ঘটনার পরদিন ২৮ এপ্রিল মোজাম মন্ডল বাদী হয়ে ৭৩ জনের নামসহ ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২২ জুন ২০২৩

Discussion about this post