নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, একজন ভোটার নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোট কেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবে, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে যেখানে ঝামেলা আছে সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দিবে। অংশগ্রহণ মূলক, অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি। আমাদের সাফল্য অনিবার্য।
তিনি আরও বলেন, কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, একশন নেয়া হবে। আমাদের কাছে কোনোপ্রকার ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, সকল প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থীতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোট কেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ একশন নিবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দিবো না।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাংচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। আমরা সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব এবং সহযোগী হিসেবে রাখার জন্য সকল সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গননা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবে সাংবাদিকরা। এরচেয়ে বেশী স্বচ্ছতা কি হতে পারে। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করেবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবে।
আহসান হাবিব খান বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে মুঠোফোন ও সরাসরি আমার কথা হয়েছে। শুধু লন্ডনে হয়নি, উনারা তো আমাকে মানেই না। আমার চেষ্টায় ঘাটতি থাকলে আমার মনের মধ্যে কষ্ট থাকতো। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

Discussion about this post