নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুদ্ধ এক আওয়ামীলীগ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে (জাসদ) দলবল নিয়ে যোগদান করেছেন। এর আগেও তিনি দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে জাসদ থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছিলেন। বাগিয়ে নিয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ। দল থেকে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তিনি ওই পদেই আসীন ছিলেন। বার বার দল বদল করা আলোচিত এই ব্যক্তির নাম আব্দুল হামিদ। মঙ্গলবার বিকেলে মালিহাদ
ইউনিয়নের আবুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাসদে যোগদান করেন। এর আগে গত ১০ অক্টোবর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আর জড়িত থাকবেন না বলে সভাপতি/সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন গত সাড়ে ৫ বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকাকালীন তিনি সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দল পরিচালনা করে এসেছেন। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে তিনি আর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকতে চান না।
মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী তাঁর জাসদে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে মালিহাদ ইউনিয়নের আবুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আবদুল হামিদের জাসদে যোগদান উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাসদ নেতা আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সেখানে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী ফুলের মালা দিয়ে আবদুল হামিদকে বরণ করে নেন। ওই সভায় আব্দুল হামিদ দলীয় কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে (জাসদ) যোগদান করেন। সেই সঙ্গে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে জাসদের দলীয় মশাল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলেও নিশ্চিত করেন। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে শনিবার বিকেলে মিরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন। এতে অভিমান করে পরদিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আর জড়িত থাকবেন না বলে ঘোষণা দেন আবদুল হামিদ। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন জাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৬ সালের দিকে জাসদ থেকে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। দলে যোগদান করে বাগিয়ে নিয়েছিলেন মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আবদুল হামিদ জানান, মনোনয়ন না দেয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছেড়ে আবারও নিজ ঘরে ফিরেছি। মশাল প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। এর বেশিকিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছিনা।
মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন বলেন, আওয়ামীলীগ হচ্ছে সমুদ্রের মত বিশাল একটি দল। এই দল থেকে দুই একজন অন্য দলে চলে গেলে এতে দলের কোন কিছু আসে যায় না।

Discussion about this post