আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। অভিযান থেকে সৃষ্ট এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত দু’দেশের সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক দফা বৈঠক করেও রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে হামলা করছে রুশ সেনারা। তবে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) তুরস্কে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার বৈঠকের পর আশার বাণী শোনালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোতে রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুসের নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাথে বৈঠকে পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যকার আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষের আলোচনাকারীরা আমাকে জানিয়েছেন কয়েকটি ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়ে কথা হয়েছে।
এ সময় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক হতে পারে বলেও মন্তব্যও করেন পুতিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, চলমান সংঘাতের মধ্যে মানবিক ইস্যুতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে ইউক্রেনের দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনের সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৪৭৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক দেশতথ্য//এল//