মোঃ রাসেল,বরগুনাঃ আসন্ন নবম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে বরগুনার তালতলীতে ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই উপলক্ষ্যে শনিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভার আগের দিন নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা তাইজুল ইসলাম তুহিনকে অন্য প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় নৌকা প্রত্যাশী মারুফ রায়হান তপু। সেই সাথে তালতলী আসলেও দেখে নিবেন বলে জানায়। তাইজুল ইসলাম তুহিন আরেক নৌকা প্রত্যাশী কামরুজ্জামান বাচ্চুর সমর্থক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাইজুল ইসলাম তুহিন তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আরেক সহ সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চুকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বর্ধিত সভার তারিখ নির্ধারন হওয়ার পর শুক্রবার তুহিনের মুঠোফোনে ফোন করে বাচ্চুর পক্ষে সমর্থন দেওয়ায় হাত-পা ভেঙে দেওয়াসহ তালতলী না আসার জন্য হুমকি প্রদান করেন একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী মারুফ রায়হান তপু । শনিবার বর্ধিত সভায় নৌকা প্রত্যাশী প্রার্থী কামরুজ্জামান তুহিন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করলে তারা সমাধানের আশ্বাস দেন।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনুসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আকাব্বর আলো বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা তাইজুল ইসলাম তুহিনকে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী মারুফ রায়হান তপু হুমকি দিয়েছে এরকম একটি বিষয় আরেক আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান বাচ্চু তার বক্তব্যে উপস্থাপন করলে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বিষয়টি মিমাংসা করার আশ্বাস দেন।
এবিষয়ে তাইজুল ইসলাম তুহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তপু আমার থেকে বয়সে অনেক ছোট। সব সময়ই আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেন। হঠাৎ শুক্রবার আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমি অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। এসময় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আমাকে তালতলী গেলে হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়।
মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রেনু হক নামের এক আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, বর্ধিত সভার দিন আমরা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে তপুর সাথে আমাদের কথা হয়। আমরা হাস্যরসও করি। হঠাৎ করেই কি কারনে জানি না তপু আমাদের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার আগেই তাদের এই অবস্থা হলে নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর কি অবস্থা হবে?
এবিষয়ে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী মারুফ রায়হান তপুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার সাথে তার একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে।
এবিষয়ে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জমাদ্দারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনু আওয়ামী লীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি বর্ধিত সভায় উপস্থাপনের কথা স্বীকার করলেও তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post