এনামুল হক কুষ্টিয়া :
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ। দেশের মানুষের কাছে পরিচিত এবং ইতিহাস বিজড়িত একটি মসজিদ। বিগত আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে টানা সাত বছর মসজিদটির সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন,ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা এজাজুর রহমান চৌধুরী উরফে শাহীন চৌধুরী। এই সাত বছরে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে জনসাধারণ মুসল্লীদের দানের টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন শাহীন চৌধুরী।
এলাকাবাসী বলেন, মসজিদের সেক্রেটারি ও আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে আমরা কখনোই মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি, থানার পুলিশও এদের কাছে কেনা গোলামের মতো ছিলো। আওয়ামী লীগের পদ ও মসজিদের সেক্রেটারি পদই যেনো এই শাহীন এর উপার্জনের মাধ্যম, শাহীন করেননা কোন কাজকর্ম। মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করে ও রাজনৈতিক পদের দাপটে টাকার পাহাড় গড়েন এই এজাজুর রহমান চৌধুরী শাহীন। এমনকি কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টের সামনের রাস্তার অপজিট পজিশনে গড়ে তুলেছেন ডাবল ইউনিটের তিন তলা বিল্ডিং বাড়ি। এছাড়াও এই থানা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দাপটওয়ালা নেতা শাহীন চৌধুরী চেক জালিয়াতির মামলায় জেলও খেটেছেন।
অভিযোগ উঠেছে শাহীন তার নিজ পরিবারের ভাইবোনদের শরিক ফাকি দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। এছাড়াও কুষ্টিয়া কোর্টের দালালি ও এলাকার মাদকবিক্রেতাদের সাথে যোগসাজশে বেআইনী পথে নানান অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন এই আজিজুর রহমান চৌধুরী উরফে শাহীন চৌধুরী।
এদিকে গত ২০২৪ এর ৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে শাহীন চৌধুরীর এ-বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে নেটিজেনরা সরাসরি দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, শাহীনের সম্পদের উৎস এবং পূর্বের সকল অপকর্মের তদন্ত করলে, বেড়িয়ে আসতে পারে কেচু খুড়তে সাপ।