গোফরান পলাশ, কলাপাড়া: ইউএনও’র উচ্ছেদ অভিযানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মান সম্মত পরিবেশ ফিরে পেল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চৌদ্দশ’ শিক্ষার্থী।
স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবক, শিক্ষক, সুশীল সমাজ সহ পরিবেশ বিদদের মাঝেও। ইউএনও মো: জাহাঙ্গীর হোসেনের মহতী উদ্দোগকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পজিটিভ মন্তব্য করেছেন অগনিত নাগরিক।
এতে উচ্ছেদ অভিযান শেষে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দখলমুক্ত সরকারী জমিতে শিশুদের জন্য ’কেন্দ্রীয় শিশু পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র’ নামে একটি নান্দনিক শিশু পার্ক গড়ে তোলার ঘোষনা দিয়েছেন ইউএনও।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সরকারী জায়গায় পাকা অবৈধ স্থাপনা তুলে বিতর্কিত এক রাজনীতিকের ক্ষমতার দাপটে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। আন্ধারমানিক নদীর তীরবর্তী এলাকায় নির্মান সামগ্রী খোয়া, বালু, সিমেন্ট রেখে পরিবেশ বিনষ্ট করে কার্গো থেকে বালু, পাথর, সিমেন্ট আনলোডের পর পিকআপ, ইঞ্জিন ভ্যানে লোড করে সরবরাহ করা হতো ক্রেতার কাছে। এতে বাতাসে বালু উড়ে গিয়ে প্রবেশ করতো শ্রেনী কক্ষে, শিক্ষার্থীদের চোখে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে অনেক শিক্ষার্থীদের চোখে। গত এক যুগ ধরে শিক্ষার্থীরা ক্ষমতার কাছে হেরে গিয়ে এ অবর্ননীয় দুর্ভোগের মধ্যে স্কুলে আসা, যাওয়া করতো। এ নিয়ে অভিভাবকরা উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে কোন সুফল পায়নি। অবশেষে শিক্ষার্থী বান্ধব ইউএনও জাহাঙ্গীর হোসেনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় প্রান ফিরে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম নূর বলেন, ’ইউএনও স্যারের অভিযানে আমরা শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পেয়েছি। স্কুলে যেতে, আসতে এখন আর বাতাসে বালু উড়ে চোখে পড়বে না। স্যারকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্যালুট সহ শুভ কামনা নিরন্তর।’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ: রহিম বলেন, ’বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি আমরা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পর বর্তমান ইউএনও স্যার আমাদের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
কলাপাড়া ইউএনও মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ’অভিযোগ জানার পর স্কুলের সামনে বালু, পাথর, খোয়ার ব্যবসা বন্ধ করা হয়েছে। অপসারন করা হয়েছে অবৈধ দোকান সমূহ। ইনশাআল্লাহ হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর তীরবর্তী এলাকায় শিশুদের জন্য ’কেন্দ্রীয় শিশু পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র’ নামে একটি নান্দনিক শিশু পার্ক গড়ে তোলা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post