কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী মোছাঃ চায়না খাতুনকে স্মার্টফোন উপহার দিয়েছেন কুমারখালীর মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল।
সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে তার হাতে স্মার্টফোন তুলে দেন ইউএনও।
মাত্র একদিনের ব্যবধানে হারানো ফোনের বদলে একটি স্মার্টফোন উপহার পেয়ে ভীষণ খুশি চায়না খাতুন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের যদুবয়রা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, কৃতি শিক্ষার্থী চায়না টিউশনি করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালান। নিজ বাড়ি থেকে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। গত রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে কুমারখালীর পান্টি এলাকায় তাঁর ব্যবহৃত অপো এ -১৬ মডেলের স্মার্টফোনটি হারিয়ে যায়। ফোনটি তাঁর পড়াশোনা ও যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ছিলো। ফোন হারিয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন।
রোববার রাতে স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান নয়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন হারানোর বিষয়টি তুলে ধরে একটি পোস্ট দেন। বিষয়টি কুমারখালীর ইউএনও বিতান কুমার মন্ডলের নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছাত্রীকে স্মার্ট ফোন কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে তার হাতে একটি নতুন আইটেল থ্রি ভিশন মডলের স্মার্টফোন তুলে দেন।
এবিষয়ে ইবি ছাত্রী চায়না খাতুন বলেন, ‘ ফোন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। ইউএনও স্যার একটি স্মার্টফোন দিয়েছেন। এতে আমি খুব খুশি।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ ফেসবুকের মাধ্যমে ইবি ছাত্রীর স্মার্টফোন হারানোর বিষয়টি জানতে পারি। একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্মার্টফোন গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাকে একটি স্মার্টফোন উপহার দেওয়া হয়েছে। আমাদের সবার উচিৎ সাধ্যমত মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানো।’
দৈনিক দেশতথ্য//এল/