জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু বকর তালুকদারের বিরুদ্ধে ইউএনও ও বিএডিসি কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিধি মোতাবেক উপজেলা সেচ কমিটির সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রতিবেদন সাপেক্ষে অনুমোদন করার পর পিডিবি গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করেন। উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্য সচিব উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিএডিসি) দায়িত্ব পালন করেন। তবে পিডিবিতে আবেদনকারী রফিকুল ইসলামকে সেচ সংযোগ প্রদানের বিষয়টি সরিষাবাড়ী সেচ কমিটি না জানলেও নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার ভূয়া কাগজপত্র বানিয়ে অনুমোদন দেন।

অভিযোগ রয়েছে, গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে তড়িঘড়ি করে সংযোগ দেন। এক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার ইউএনও উপমা ফারিসা ও বিএডিসি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাকসুমুল হকের স্বাক্ষর জাল করেন।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক বলেন, এ কাগজগুলো অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে। তবে এ কাগজগুলো কার নামে সেটা আমার জানা নেই। তবে কেউ কিছু বললে এ কাগজগুলো দেখানোর কথা বলেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী বলেও জানান তিনি।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিএডিসি) মাকসুমুল হক বলেন, চলতি বছরে ২ ও ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সেচ কমিটির দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় যথাক্রমে ১০২ টি এবং ৬৪টি অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই কমিটির মিটিং এ রফিকুল ইসলামের নামে কোন ধরনের সেচ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি সে কিভাবে সংযোগ পেলো সেটাও তার জানা নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উপমা ফারিসা বলেন, রফিকুল ইসলামের অনুমোদনের কাগজে থাকা ইউএনওর স্বাক্ষরটি আমার নয়। এটা নকল স্বাক্ষর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিএডিসি’র অফিসারের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সরিষাবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্রের (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার বলেন, তার কাছে এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই। এ বিষয়ে কোনকিছু জানা নেই বলেও জানান তিনি।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//২২ মে-২০২২

Discussion about this post