নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:
নেছারাবাদে বলদিয়া ইউনিয়নের প্রভাবশালি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের আপন ভাই মো: মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি দিনমজুর পরিবারের তিন পুরুষের কবরস্থান দখল নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মিজানুর রহমান গ্রামের দিনমজুর পরিবারগুলোর বাপ দাদার কবরস্থানসহ পাশের একটি জমির মাটি কেটে এখন বালু ফেলে ভরাটের পায়তারা চালাচ্ছেন।
ওই গ্রামের মো: সেলিম, মিজানুর রহমান, মো: ইসরাফিল, মো: আলি আকবর সহ তাদের একাধিক স্বজনরা এ অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে এলাকার কারো কাছে দর্না দিয়েও কোন বিচার পাচ্ছেনা। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, তারা কারো জমি দখল করেননি। তারা তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির বুজ নিয়েছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহিন আহমেদ। তার আপন ভাই মো: মিজানুর রহমানের সাথে স্থানীয় দিনমজুর মো: সেলিম, মো: ইসরাফিল, মো: আলি আকবর সহ তাদের একাধিক স্বজনদের সাথে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘ বছর বিরোধ চলছিল। দখলদার মিজানুর রহমানের দাবি তিনি তাদের এক ওয়ারিশের কাছ সম্পত্তি কিনেছিলেন। সেই ক্রয়কৃত সম্পত্তি আওয়ামীলীগ আমলে অভিযোগকারিরা ভোগ করতে দেয়নি। সেলিম মিয়া, মিজানুর রহমান, ইস্রাফিলদের অভিযোগ মুলত চেয়ারম্যানের ভাই মিজান আমাদের সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করেছে। তারা অজ্ঞাত একটি লোকের একটি বায়না দলিল নিয়েছে। সে জমির কোন রেজিষ্ট্রি হয়নি। চেয়ারম্যানের ভাই মিজান গায়ের জোরে একটি বায়না দলিল করে অবৈধভাবে এখন আমাদের চার পুরুষের বাপ দাদার কবরস্থান দখল নিয়েছে।
একই অভিযোগ করেন প্রতিবেশি মো: সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, আমাদের চার ওয়ারিশের একটি বিশ শতক প্লটের জমি রয়েছে। সেখান থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো: শাহিন সাড়ে ছয় শতক জমি কিনে এখন পুরো প্লটে বালু ফেলার চেষ্টা করছে। তিনি এখন পুরো জমিটা দখল নেয়ার চেষ্টা করছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: মিজান বলেন, আমি ,বয়া গ্রামের ইস্রাফিল,মিজানুর রহমান গংদের শরীক থেকে তের শতক একটি জমি কিনেছে৷ আমার বড় ভাই শাহিন নিজেও সোলায়মানদের একজন ওয়ারিশের জমি কিনেছে। এখন সেই ক্রয়কৃত জমি বুজে নিয়েছি। এখানে কোন দখল বানিজ্য নেই। সব মিথ্যা অভিযোগ