Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 8:54 pm

ইভটিজার আটকের ঘটনায় ইউপি পরিষদে হামলা

মো.আলাউদ্দীন,হাটহাজারী(চট্টগ্রাম) :হাটহাজারীতে আপন দুই ভাই বোনকে প্রেমিক-প্রেমিকা অপবাদ দিয়ে আটকে রেখে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ বখাটেদের আটকের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদে হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৫ই আগষ্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার ধলই ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল মনসুর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে ধলই ইউনিয়নের সোনাইকুল এলাকার আপন দুই ভাই-বোন প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মুনিয়া পুকুরপাড়ের এনায়েতপুর বাজারে পৌঁছলে মো. সাকিব ও মো. মেহেদী নামে দুই বখাটে তাদের থামায় এবং ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ অপবাদ দিয়ে আটকে রেখে উত্ত্যক্ত করে। খবর পেয়ে তাদের বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে বখাটে উত্ত্যক্তকারীরা তাকেও মারধর করে। এসময় টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমদের উদ্ধার করে মো. সাকিব নামে একজন বখাটেকে আটক করে। ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে বখাটে পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে ইউপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর। এ সময় বখাটে পক্ষের লোকজন চেয়ারম্যানকে অন্তত আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় মোহাম্মদ রুস্তম (৩৫) নামে হাটহাজারী থানার এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। এছাড়া হামলাকারীরা দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখলে সড়কের উভয় দিকে যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর বলেন, ‘ঘটনার জের ধরে উত্ত্যক্তকারীদের সঙ্গে আরো কিছু লোকজন গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাব-পত্র ভাঙচুর করে। আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে। পুলিশের সহযোগিতায় আমি প্রাণে রক্ষা পাই।’

হাটহাজারী মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ সোহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। যারা এ ঘটনায় জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//