আব্দুল বারী: জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের পতিত সামরিক শাসক। তার দাম্পত্য জীবন না থাকলেও ছিলো জৌলুসে ভরা যৌনজীবন। পুলিশের একজন সিপাহীর সন্তান থেকে তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পাঁচশ’রও বেশি সুন্দরী নারীর সাথে বিকৃত যৌন শখ চরিতার্থ করেছেন।
তার শাসনামলে এমন কোন শীর্ষ সামরিক কিংবা বেসামরিক কর্মকর্তার বেগম ছিলেন না যার ভিতর ও বাহিরের ম্যাপ তার অচেনা ছিলো। একাজে তিনি যে জোর খাটিয়েছেন তা নয়। বেগমদের সাহেবরা প্রমোশন ব্যবসা-বানিজ্য কিংবা কোন বিশেষ সুবিধার জন্য কখনো সুন্দরী স্ত্রী কখনো বান্ধবীকে ইয়াহিয়া খানের মদের আসরে উপঢৌকন দিতেন। এই আসরে আমন্ত্রণ পেতে তারা জেনারেল কুইন নামে ব্যপক পরিচিত ইয়াহিয়ার বিশ্বস্ত বান্ধবী আকলিমা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করতেন।
প্রেসিডেন্টের মদের আসরে যাওয়া বেগমদের সবাই তার বেডরুম পর্যন্ত যেতে পারতেন না। কাদের বেড রুমে নেওয়া হবে তা ঠিক করতেন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। এরপর আকলিমা আক্তার বাছাই করা সুন্দরীদের ব্রিফিং দিয়ে পোষাক পরিচ্ছদ ঠিক করে দিতেন। তারা কিভাবে ইয়াহিয়া খানের সাথে ইনজয় করবেন সেটার রিহার্সেলও তিনি দিতেন। এরপর সে বা তারা যেতেন ইয়াহিয়া খানের শয়ন কক্ষে। যারা শয়ন কক্ষে যেতো তাদের হাতেই ধরা দিত সিন্দাবাদের দৈত্য। সেই রাতে সে যা চাইতো তাই পেত। বিনিময়ে প্রেসিডেন্টকে দিতে হতো শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবেশের অবাধ ভিসা।
১৯৭১ সনের ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পনের দলিলে স্বাক্ষর করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বিকার করে পাকিস্তান। ২০ ডিসেম্বর এই ব্যার্থতার দায়ে ক্ষমতাচ্যুত হন ইয়াহিয়া খান্। নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেন।
এরপর তিনি ইয়াহিয়া খানকে কারাগারে পাঠান। তার বান্ধবী আকলিমা আক্তারকে গৃহবন্দী করেন। ইয়াহিয়া খানের অনিয়ম দুর্ণীতি ও ভ্রষ্টাচার তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেন। ইতিহাসে এটা হামদুর রহমান কমিশন নামে পরিচিত। এই কমিশনের গোপন রিপোর্টে বর্নিত নানা তথ্য নিয়ে পাকিস্তানের পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ হতে থাকে পতিত সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের যৌন জীবনের নানা উপাখ্যান। যেমনটি জেনারেল এরশাদের পতনের পর হয়েছিলো ঠিক সে ভাবেই মার্কেট পেয়েছিলো জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাহিনী গুলো।
হামদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় ২০০১ সালে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিলো, সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান যে কেবল প্রকাশ্যে নারীদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন তা নয়। দিনের বেশির ভাগ সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন। প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেও তিনি মদ পান করতেন।
ওই রিপোর্টে জেনারেল ইয়াহিয়া খান এবং জেনারেল রাণীখ্যাত আকলিমা আক্তারের প্রেমের নানা ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়। সেই বর্ণনায় বলা হয়, আকলিমা আক্তারের তার বিশ্বস্ত বান্ধবী ছিলেন। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানের সান্নিধ্য গিয়েছিলেন এমন ৫০০ জন সুন্দরী নারীর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এদের মধ্যে তৎকালীন পাকিস্তানের আইজিপি পত্নী বেগম শামীম, এ এন হোসেন, বেগম জুনাগাদ, নূরজাহান বেগম, আকলিমা আক্তার রাণী, করাচির ব্যবসায়ী মনসুর হিরজির স্ত্রী, নাজলি বেগম, ঢাকার শিল্পপতি লিলিখান, ঢাকার আরেক সুন্দরী ধনকুবের লায়লা মুজাম্মিল, অভিনেত্রী শবনম, অভিনেত্রী সাগুফতা, নাগিমা, তারানা এবং আরো অন্যান্যরা ছিলেন।
এছাড়াও উচ্চ পর্যায়ের বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তা তাদের সুন্দরী বান্ধবী বা স্ত্রীদের নিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও রংমহলে যেতেন। তারা সেখানে মদ্যপান করতেন আর স্ত্রী কিংবা বান্ধবীকে উপটোকন হিসেবে জেনারেল ইয়াহিয়ার সামনে উপস্থাপন করতেন। ডিনারের পর প্রেসিডেন্ট এক বা একাধিক সুন্দরীকে রেখে অন্যদের বিদেয় করতেন। যেই নারী ওই রাতের সৌভাগ্যবতী হতে পারতেন তার ভাগ্য বদলে যেত। যারা স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হতেন তাদের মিলতো প্রোমোশন কিংবা বিশেষ কোন সুবিধা। জেনারেল নাসিম, হামিদ, লতিফ, খুদাদ, শাহিদ, ইয়াকুব, রিয়াজ, পরীজাদা, মিঞা এবং আরো অনেকের স্ত্রীরা ছিলেন ইয়াহিয়ার আসরের নিয়মিত অতিথি।
ইয়াহিয়া খানের সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও আলোড়িত নারী আকলিমা আক্তার পেয়েছিলেন জেনারেল কুইন খেতাব। এই কুইনই ইয়াহিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের গায়িকা নূরজাহারকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর নূরজাহানই হয়ে উঠেছিলেন ইয়াহিয়ার জিন্দেগীকি রানী।
কুদা কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ এর ডিসেম্বরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যখন জীবন বাঁচাতে মরিয়া তখন তিনি মানসিক চাপে বিষন্ন থাকতেন। বিষন্নতা কমাতে তিনি শিল্পী নূরজাহানকে নিয়ে লাহোরের গর্ভনর হাউজে রাত কাটাতেন। নূর জাহান নানা রঙ ও ঢংয়ে দিনে ৩/৪ বার নিজেকে ইয়াহিয়া খানের সামনে উপস্থাপন করতেন।
এই প্রসঙ্গে জেনারেল রাণী (কুইন) খ্যাত আকলিমা আক্তার আইজি প্রিজন হাফিজ কাশিমকে বলেন, জেলারেল ইয়াহিয়া নূরজাহানের নগ্ন শরীরে মদ ঢেলে তা চেটে চেটে খেয়ে খুব তৃপ্তি পেতেন।
আকলিমা আক্তার জানিয়েছিলেন, নূরজাহান এর কাছে পাকিস্তানি ট্যাক্স ডিপার্টেমেন্ট কয়েক হাজার রুপি ট্যাক্স দাবি করে। সেই ট্যাক্স না দেওয়ার সুযোগ নিতে আকলিমার সাথে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়েছিলেন। এরপর আর ইয়াহিয়ার সঙ্গ ছাড়তে পারেননি নূরজাহান।
কে ছিলেন এই জেনারেল কুইন আকলিমা আক্তার: ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ সালের শেষ পর্যন্ত আকলিমা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের উপর প্রভাব বিস্তারকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন শীর্ষে। এই জন্য তাকে “জেনারেল কুইন” উপাধি দিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা রিপোর্ট করেছিলো। পাকিস্তানের সামরিক বেসামরিক আমলা বড় বড় ব্যবসায়ীরা ইয়াহিয়া খানের করুণা লাভের আশায় আকলিমার দুয়ারে ধর্ণা দিতেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, আকলিমা আক্তার রানী পাকিস্তানের গুজরাট শহরে স্বচ্ছল এবং রক্ষণশীল এক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। দিগুণ বয়সী এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার বিয়ে হয়।
পারিবারিক রক্ষণশীলতার কারনে তিনি ছিলেন অত্যান্ত পর্দানশীন। তিনি ছয় সন্তানের জননী হওয়ার পরও বেপর্দা চলাফেরা করতেননা।
কোনো এক বিকালে তিনি স্বামীর সঙ্গে মুরি পর্বতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। স্বামীর হাত ধরে হাটছিলেন। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া উড়িয়ে নিলো আকলিমার মুখের পর্দার একটি অংশ। পর্দার সেই অংশ তিনি আর ধরলেন না। পুলিশ স্বামী তাকে শরীরের পর্দা ঠিক করার জন্য বললেন। আকলিমা তাতে গুরুত্ব দিলেন না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একটা থাপ্পড় দিলেন স্বামী। এরপর আকলিমা আরো বেপরোয়া হয়ে বোরকা খুলে ছুড়ে দিলেন স্বামীর মুখে।
এই ঘটনা অনেক বড় হয়ে দু‘জনকে আলাদা করে দিল। ছয় সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করার পরামর্শশ দিলেন আকলিমার বাবা মা। সেই পরামর্শ উপেক্ষা করে স্বামীর সংসার ছেড়ে কর্পদকহীন অবস্থায় অজানায় রওয়ানা হলেন আকলিমা।
কর্মের দিশা পেতে তিনি বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবের আড্ডায় যাওয়া শুরু করলেন। সখ্যতা হলো অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে। তাদের একেক জনের কাধে সওযার হয়ে তিনি করাচী, রাওয়ালপিন্ডি আর লাহোরের নাইট ক্লাব গুলোতে হয়ে উঠলেন পরিচিত মুখ। সেখান থেকে অনেক রাজনীতিক সেনাকর্মকর্তা এবং ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের সাথে জমলো আড্ডা। যাদের দাম্পত্যে আগুন জ্বলতো আ্কলিমা তাদের টার্গেট করতো। তাদের জন্য ‘ড্যান্স পার্টির’ আয়োজন করতে করতে একসময় বনে গেলেন মাসি।
সাহেবদের মনোরঞ্জনের জন্য অর্থাভাবে জর্জরিত, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন সুন্দরী তরুণীদের তিনি নিয়ে আসতেন। এইসব নতুন আমদানীতে বাড়লো তার রঙমহলের পরিধী। তাদের জায়গা সংকুলানের জন্য রাওয়ালপিন্ডির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে অভিজাতদের জন্য তৈরী করলেন সিক্রেট রেড জোন।
১৯৬৭ সালের কোন একদিন এই জোনে আড্ডা দিতে এলেন পাকিস্তানের ভবিষ্যত একনায়ক জেনারেল ইয়াহিয়া খান। তার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন আকলিমা। আকলিমার সেবায় মুগ্ধ হয়ে ইয়াহিয়া খান তাকে আদর করে আকলিম বলে ডাকা শুরু করলেন। এরপর হলো প্রেম। বাড়লো বিশ্বস্ততা। বিয়ে না করেই তারা হয়ে গেলেন স্বামী-স্ত্রী।
১৯৬৯ সালে আন্দোলনের মুখে জেনারেল আইয়ুব খান জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পদত্যাগ করলেন। ইয়াহিয়া খান বনে গেলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। আর আকলিমা হলেন ‘জেনারেল কুইন’।
এই নারী নবাব সিরাজের আলেয়ার মতো ইয়াহিয়া খানকে নীতিগত ও রাজনৈতিক পরামর্শ দিতেন। সাংবাদিকরা বলেছেন যৌবনে পুলিশের ঘরে প্রশিক্ষণ পাওয়া আকলিম রাজনৈতিক বিষয়ে ইয়াহিয়ার চেয়ে বেশি দক্ষ ছিলেন। এই জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, আমলা এবং সেনাবাহিনীর জেনারেলরা তার কাছে আসতেন। তারা আকলিমকে টাকা দিয়ে পার্টির আয়োজন করতেন। তাকে দিয়ে বিভিন্ন তদবীর করতেন।
জুলফিকার আলী ভুট্টো ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, আমলা এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যারা আইয়ুব খান এবং ইয়াহিয়ার সরকারকে সমর্থন করেছিল তাদের গ্রেফতার করলেন। আর আকলিমকে গৃহবন্দী করে সুসম্পর্ক তৈরি করলেন। এরপর তার কাছ থেকে নৈতিক অনৈতিক সুবিধা ভোগ করতেন। আকলিম ১৯৭২ থেকে ৭৭ পর্যন্ত গৃহবন্দি ছিলেন। বিখ্যাত আইনজীবী এস এম জাফর মামলায় লড়ে তাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন।
১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতা দখল করেন। এরপর আকলিমা গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্ত পায়। গৃহবন্দী থাকায় আকলিমা তার অর্থবৈভবের বেশিভাগই হারিয়ে ফেলেন।
জানা যায় ১৯৮০’র দশকের শুরুতে কেউ একজন তাকে মাদক ব্যবসার প্রতি উৎসাহী করেন। পরে তিনি মাদক চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটেন। কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় তিনি জেল থেকে মুক্ত হন। জেনারেল জিয়ার অনুকম্পায় ১৯৮৮ সালে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোও বাতিল করে নিতে সক্ষম হন।
আকলিমার ক্ষমতার জোরে তার সব ছেলে মেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। অপরদিকে প্রতিকুলতা মোকাবেলা করতে গিয়ে আকলিম হয়ে পড়েন নিঃসঙ্গ, একাকী জীবনের হতাশ এক যাত্রী। ছেলেমেয়েদের আপত্তির কারণে মিডিয়া অথবা সরকারের বাইরের কারো সঙ্গে কথা বলাও ছিল নিষেধ। তিনি বন্ধুদের ত্যাগ করলেন। যদিও এটা ছিল শূন্যতা, একাকীত্ব আর নিঃসঙ্গতায় ভরা। জীবনের শেষ পর্যায়ে মরনব্যাধী ক্যান্সার বাসা বাঁধে তার শরীরে। ২০০২ সালে ৭০ বছর বয়সে নীরবে নিভৃতে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান রহস্যময়ী আকলিসমা।
আকলিমা এবং ইয়াহিয়ার গভীর প্রনয়ের গল্প সে সময় পাকিস্তান, লন্ডনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এ প্রকাশিত হতো নিয়মিত। জুলফিকার আলী ভুট্টোর শাসনামলে পাকিস্তান পিপলস পার্টির মুখপাত্র উর্দু দৈনিক মুসাওয়াত এর তোপের মুখে পড়েন।
১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের কারণ হিসেবে ইয়াহিয়ার সঙ্গে তাকেও অভিযুক্ত করা হয়। জুলফিকার আলী ভট্টোকে সরিয়ে ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতায় আসেন। অবশেষে আকলিম এর কঠিন অবস্থার অবসান হয়।
আকলিম আক্তার মাদক ব্যবসায় জড়িত হওয়ার অভিযোগে আবারো সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হতে শুরু করলেন। যদিও অন্যান্য মামলার মতো এ মামলা গুলোতেও তিনি নির্দোষ প্রমানিত হন।
জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন অনেক সেনা কর্মকর্তা আর আমলাদের স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থে জেনারেল রানী বা আকলিমার নাম উঠে এসেছে।
তার চরিত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যবসা সফল পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র। ‘মাদাম রানী’ নামে এ চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেন পাঞ্জাবের সুপারহিট অভিনেত্রী আঞ্জুমান।
লেখক: আব্দল বারী, সাংবাদিক ও সম্পাদক দৈনিক দেশতথ্য।

Discussion about this post