ঈদের বাকি হাতেগুনা কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা জানালেন, মসলার বাজারে মানুষ আসতে শুরু করেছেন। বিক্রিও বেশ ভালো। তারা আশা করছেন ঈদের আগের রাতে তাদের বিক্রি আরও জমবে। এদিকে মসলার দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশে মসলার চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক আছে।
খোকসা পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেল ক্রেতারা মসলার দোকানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ভিড় করছেন আর কিনছেন নানা রকমের মসলা।
বর্তমানে বাজারে মান ভেদে প্রতি কেজি জয়ত্রী ২৮০০ টাকা থেকে ২৯০০ টাকা, পেস্তা দানা ৮০০টাকা, দারুচিনি ৪00 থেকে ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ ১৯৫০ থেকে ১২০০ টাকা, জিরা ৪৬০ থেকে ৩৮০ টাকা, তেজপাতা ৪০০ থেকে ১৪০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ৯০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৭০০ টাকা, জয়ফল ১৫০ থেকে ৯০০ টাকা, কিসমিস ৩৮০ থেকে ৩৭০ টাকা, আলুবোখারা ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, কাঠবাদাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ও চিনাবাদাম ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংস রান্নার অন্যতম মসলা আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যে আদা বিক্রি হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, বর্তমানে খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ১৩০ টাকা। এ ছাড়া পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।খোকসা পৌর বাজারের মসলা বিক্রেতা মো: ওসমান বলেন, ঈদের আগে আগে মানুষ মসলার বাজারে আসতে শুরু করে। আগের কয়েক দিনের তুলনায় এখন দোকানে মানুষ আসছে। বেশি৷ বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো। তিনি জানান আগের চেয়ে মসলার দাম কিছুটা বেড়েছে।
আরেক বিক্রেতা মহসিন আলী বলেন, ঈদে এলাচি, দারুচিনি, জিরার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এর বাইরে তেজপাতা কেনেন ক্রেতারা। মাংস, পোলাও, সেমাই রান্না করতে নানা ধরনের মসলা ব্যবহৃত হয়। তবে কোরবানি ঈদের মতো মসলা ঈদ উল ফিতবে বেশি বিক্রি হয় না। চাঁদরাতে মসলার বাজারে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভিড় করে। এবারও চাদ রাতে বেশি ক্রেতা মসলার দোকানে ভিড় করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাজারে মসলা কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক ইতি পারভীন জানান, ঈদ উল ফিতরের চেয়ে কোরবানির ঈদে গরুর মাংস রান্না করার জন্য মসলার প্রয়োজন বেশী। ঈদের আগেই মসলা কিনে ঝামেলা শেষ করছি। দিন দিন বাজাৱে ভীড় বাড়বে তাই আগে ভাগেই মসলাসহ টুকটাকি বাজার শেষ করে নিচ্ছি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ০৬,২০২২//