Print Date & Time : 11 August 2025 Monday 3:19 am

উপকূলে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে

গোফরান পলাশ ,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): গত ৪/৫ দিন ধরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগরে ধরা পড়তে শুরু করেছে ইলিশ ।
ইতোমধ্যে পাইকারি বাজারে এর দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনও দাম না কমায় ক্রেতার নাগালের বাইরে রয়ে গেছে স্বাদের রূপালী ইলিশ।

সমুদ্রে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ায় কুয়াকাটা, আলীপুর – মহিপুর মৎস্য বন্দরের অন্তত: দেড় শতাধিক আড়তে মালিক, কর্মচারী, জেলেদের ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার এবং মহাজনরা এসে বাজার ঘুরে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে ইলিশ।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, জৈষ্ঠ্য থেকে আশ্বিন মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। ইতিমধ্যে মৌসুমের অর্ধেকটা শেষ হলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে সাগরে কাংখিত কোন ইলিশ পায়নি জেলেরা। বর্তমানে আবহাওয়া পরিস্থিতি অনূকুলে থাকায় সাগর কিছুটা শান্ত। ফলে ছোট-বড় সকল ট্রলারের জেলেরা কম – বেশী পাচ্ছে ইলিশ। ফলে আড়ৎ গুলোয় কেউই যেন বসে নেই। কেউ ট্রলার থেকে তুলে দিচ্ছে ইলিশ, কেউ নিয়ে আসছেন আড়তে। কেউ ওজন দেয়ার কাজ করছে, কেউ আবার তা খাতায় তুলছেন। সব মিলিয়ে মৎস্য বন্দরের মালিক শ্রমিকদের এখন আর অলস বসে থাকার যেন সময় নেই।

এদিকে পাইকারী বাজারে ইলিশের দাম কমলেও এর প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইলিশ। খুচরা বাজারে বেশী দামে ইলিশ বিক্রি করায় ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। আর নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের কাছে ইলিশ রয়ে গেছে স্বপ্নে।

মৎস্য বন্দর সূত্র জানায়, রবিবার পাইকারী বাজারে ১ কেজি থেকে তার উপরে প্রতিমন ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা দরে, ৬০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫৮ হাজার টাকায়, এছাড়া গোটলা ইলিশ ৩০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম যা বিক্রি হয়েছে ২১ হাজার ৫০০ টাকা মন দরে। যা গত ১০ দিন আগেও মন প্রতি ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা বেশী ছিল।

অপরদিকে কলাপাড়া পৌরশহরের মাছ বাজারের খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে জানা গেছে, ১০ দিন আগে ১ কেজি সাইজের যে ইলিশ দু’হাজার তিন’শ টাকা ছিল, এখনও একই দামে বিক্রি করা হচ্ছে। অনুরুপ অন্যান্য সাইজের ইলিশেও দামের তেমন কোন পার্থক্য নেই।

ক্রেতারা জানান, পাইকারী বাজারে ইলিশের দাম কমেছে অথচ খুচরা বাজারে দাম সেই আগের মতই। ইলিশ কেনা সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মহিপুর মৎস্য বন্দরের হাওলাদার ফিসের সত্বাধিকারী আ. জলিল হাওলাদার বলেন, পাইকারী বাজারে গত এক সপ্তাহ আগে ইলিশের যে দাম ছিল,তার থেকে মন প্রতি ২০ হাজার থেকে কোন কোন সাইজ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। এভাবে মাছ পড়লে আমরাও পিছনের লচ মেকাপ করতে পাড়ব,আর সাধারণ মানুষও ইলিশ কিনে খেতে পাড়বে।