মোমেছুর রহমান : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের অন্যতম হচ্ছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। প্রকৃত পক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা প্রকৃত উন্নয়ন জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌছে দিতে উপজেলা পরিষদের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন যোগাযোগ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে দৈনিক দেশতথ্যের নিয়মিত আয়োজনে আজ থাকছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পরিক্রমা।
প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছেন দৈনিক দেশতথ্যের নির্বাহী সম্পাদক মোমেছুর রহমান।
যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সার্বিক উন্নয়নসহ সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত পরিষদ গড়তে সক্ষম হয়েছেন ঃ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকার সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেছেন, বিগত দিনের যত ব্যর্থতা, হতাশা আর বেদনাই থাক না কেন-নতুন আশা সফলতা ও স্বার্থকতা কামনা নিয়েই উপজেলা পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমান করতে চেয়েছি। আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েই বলতে চাই আমি কোন গোষ্ঠীর স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করি না। একটি পরিপূর্ন সমাজের সফল চিত্রই ভেসে উঠবে এই উপজেলায়। এ পরিষদের সকল কর্মকান্ড দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে উপজেলাবাসীর দাবী-দাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে মানুষের উপর অকল্যানের ছোবল সনাক্ত করে তা নিরসন ঘটিয়ে শুভ শান্তি ও কল্যাণের ক্ষেত্রে অবিচলিত সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার নিয়েই আমি যাত্রা শুরু করেছি। আমার এ দায়িত্ব পালনের সাথে আছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ্তায়ালা ও আমার নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ এমপি। আমি বলতে চাই, কোন বাধা বিঘœ বা চাপের মুখে ইনশাল্লাহ্ আমি সদর উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ও ভাল কাজ থেকে বিচ্যুত হয়নি এবং আগামীতেও হবনা। এ উপজেলাকে দেশের মধ্যে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়নসহ সন্ত্রাস মাদক মুক্ত মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে চাই। তিনি আরও বলেন, এ উপজেলা হবে সবক্ষেত্রে উন্নয়নের রোল মডেল, যেখানে জনগণ পাবে সকল ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা। আমি সব সময় সকলের বিপদে পাশে থাকতে চায়। জীবন দিয়ে হলেও কুষ্টিয়াবাসীকে সন্ত্রাস, মাদক মুক্ত, সুস্থ্য স্বাভাবিক সমাজ গঠন করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়াও শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, স্যানিটেশন, বয়স্ক, বিধবা, শিশু-কিশোর ও যুব সমাজসহ সকলের উন্নয়নে কাজ করার কথাও বলেন তিনি। এ সাক্ষাতকারে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন করার জন্য সকলের পরামর্শ সহযোগীতা থাকলে আমি এখানকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পিছুপা হবনা। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই গত ৩ বছরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে কুষ্টিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে ৫৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো নির্মান। ৩৯টি রাস্তা (পল্লী সড়ক) মেরামত কর্মসুচী। খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ৩০টি রাস্তা, ৮টি ব্রীজ ও একটি গ্রোথ সেন্টার নির্মান। বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ২৯টি রাস্তার উন্নয়ন করা হয়েছে। ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫টি বাসস্থান নির্মান। সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৭টি ঈদগাহ, মসজিদ, গোরস্থান, মন্দির ও শ^শান ঘাট উন্নয়ন করা হয়েছে। সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভুমি অফিস নির্মান প্রকল্পের আওতায় একটি ভুমি অফিস নির্মান। ঘুর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পল্লী অবকাঠামো পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ৩টি রাস্তা নির্মান। দেশব্যাপী গ্রামীন বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ১টি বাজার উন্নয়ন। জাইকা/বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় ৬টি ড্রেন নির্মান ও বাজার উন্নয়ন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ন পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় ১৭টি রাস্তার উন্নয়ন। গ্রাম সড়ক পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি রাস্তার উন্নয়ন। উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ১টি ভবন নির্মান। এছাড়াও সিএইচএসএমএমপি প্রকল্প ১টি। ১টি পিআরএমএমপি প্রকল্পসহ (ঢ়ৎড়মৎধস ভড়ৎ ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃরহম জঁৎধষ ইৎরফমব) এর আওতায় ৬টি ব্রীজ মেরামত করা হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) ও উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ক্ষুদ্র প্রকল্প ইউনিয়ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেও আমার কুষ্টিয়াবাসীর সুযোগ-সুবিধার জন্য বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা রাস্তা থেকে পাকা রাস্তা করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়াও রাস্তাঘাট মেরামত ও রক্ষনা বেক্ষণ করেছি। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, গোরস্থানসহ বিভিন্ন এলাকার ড্রেন নির্মানের কাজ দলীয় ভাবে করতেও সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যেও এ দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সরকার যাবতীয় পরিকল্পনার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করবে। জনগণের জীবনমান উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে। যতই প্রতিকূলতা আসুক এই অগ্রযাত্রাকে থামানো যাবেনা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে আমাদের সরকার এখন অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। মানুষ এখন ঘরে বসে সেবা পাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটালাইজেশনের কারণে।
আমি সবার বিপদ আপদে এগিয়ে যেতে চায়। আপন জনের মত পাশে দাড়াতে চায়। গতকাল দৈনিক দেশতথ্য’র সাথে বিশেষ সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
সবশেষে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সদর উপজেলার যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। এই মহৎ প্রাণ ব্যক্তি তার জনপ্রিয়তা ঘটিয়েছেন কুষ্টিয়ায় অসহায় মানুষকে সহযোগীতা ও সেবা দিয়ে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ এমপির দিক নির্দেশনাই কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান করোনা ভাইরাসের দূরসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুষ্টিয়ার অসহায় দরিদ্র দিনমুজুর খেটে খাওয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থনিয়ে। প্রতিটি করোনা আক্রান্ত রোগীর খোজ খবর নিয়েছেন। বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। তার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক তরুণ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আতাউর রহমান একজন সংগ্রামী মানুষ, গণ মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ, সমাজ সেবক, দুর্নীতিমুক্ত কৃষ্টি সাংস্কৃতিক মনা, মানবিক দৃষ্টি যুক্ত একজন সময়ের সাহসী সন্তান। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, নিঃঅহংকার সর্বমানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব। অন্যায়ের সাথে যিনি কখনো আপোষ করেননি। কোন অপশক্তিই তাকে কখনো নূন্যতম আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। তিনি একজন সৎ মানুষ, নির্লোভ এবং সম্পূর্ণ দুর্নীতীমুক্ত মানুষ হিসেবে কুষ্টিয়ার আপামর জনগণের কাছে বিশেষ ভাবে সমাদৃত, সম্মানিত ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন এই নেতা। কুষ্টিয়ার অনেক প্রতিকূলতা ও সমস্যা সমাধানে তিনি অকাতরে কাজ করে গেছেন। খুলনা বিভাগের মধ্যে সেরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উন্নয়ন ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় পেয়েছেন সম্মাননা পদক। জন স্বীকৃতির থলেতে জমা পরেছে পুরস্কার সংবর্ধনা। গ্রহন যোগ্যতার পরিধির বিস্তার ঘটিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন সমাজের আদর্শ নেতা।